রাজীব চক্রবর্তী: জেলে প্রাণসংশয়? দিল্লি হাইকোর্টের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন করল 'উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া" নামে একটি সংস্থা। জেলে বন্দি থাকাকালীন টিল্লু তাজপুরিয়া এবং আতিক আহমেদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হল আবেদন। আর্জি জানানো হল, 'দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে যতদিন মেয়াদ রয়েছে, ততদিন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হোক'।
প্রায় একমাস হতে চলল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখন ইডির হেফাজতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী পদ থেকে অবশ্য ইস্তফা দেননি তিনি। সরকার চালাচ্ছেন জেলে বসেই। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, জেলে ঘনিষ্ট ব্য়ক্তি, এমনকী স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না কেজরিকে। সন্ত্রাসবাদীর মতো আচরণ করা হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এদিকে কেজরিওয়াল ডায়াবেটিসের রোগী। জেলে বসেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনের বিরুদ্ধে করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাল্টা দাবি, মিষ্টি-আম খেয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে সুগার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কেজরিওয়াল, যাতে স্বাস্থ্যজনিত কারণে জামিন পেয়ে যান। এর আগে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন আটবারই! শেষবার যখন সমন পাঠানো হয়, তখন হাজিরা না দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আবেদন করেন, ‘ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না'। আদালত যেদিন রক্ষাকবচের আবেন খারিজ করে দেয়, সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে। কবে? গত বৃহস্পতিবার , ২১ মার্চ।