এই সময়: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গরম ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শহরগুলোর উদ্যান এবং রাস্তার ধারে থাকা গাছেদের যত্নে যেন কোনও খামতি না-থাকে, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের সব ক’টি পুরনিগম ও পুরসভাকে সাত দফা নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য পুর দপ্তর। সরকারি সূত্রের খবর, ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গরমে উপযুক্ত পদক্ষেপ না-করা হলে বহু গাছেরই ক্ষতি হবে।সে জন্যই উদ্যান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের প্রশিক্ষণে কর্মশালা চালুর কথা বলা হয়েছে পুরসভাগুলোকে। তীব্র গরমে গাছেদের স্বাস্থ্যে যেন সঙ্কট না-দেখা দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে কী কী করতে হবে, তা শেখানোই এই কর্মশালার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে।
পুর দপ্তরের এক কর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গত কয়েক বছরে উম্পুন-সহ বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ে আমরা প্রচুর গাছ হারিয়েছি। যত্নের অভাবে নতুন করে কোনও গাছের ক্ষতি যাতে না-হয়, সে কথা পুরসভাগুলোকে বলা হয়েছে। এখন যখন এত গরম, তখন গাছের বাড়তি রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।’
পুর দপ্তরের তরফে পুরসভাগুলোকে বলা হয়েছে, কোন গাছে কতটা জল দিতে হবে, গোড়ায় মাটি দেওয়া প্রয়োজন কি না, সার ক’দিন অন্তর দিতে হবে— এই সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সেই মতো পদক্ষেপ করতে হবে। ওই নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, সব গাছে যেন নিয়ম করে জল দেওয়া হয়। কোনও গাছের ক্ষতি হয়েছে, এমনটা ধরা পড়লে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের অধিকাংশ শহরেই রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোয় নজর তেমন দেওয়া হয় না। গরমে অধিকাংশ গাছ জলের অভাবে মরে যায়।’ তবে পুর দপ্তরের তরফে কেবল নির্দেশ দিলেই হবে না, সেটা ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর রাখা জরুরি বলে দাবি তুলছেন পরিবেশকর্মীরা।
পুর দপ্তরের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার বলছেন, ‘শুধু গরমের সময়েই নয়, বছরভর গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের বিশেষ টিম রয়েছে। পুরসভার অফিসাররাও শহর জুড়ে থাকা গাছেদের উপর নজর রাখেন। কোনও সমস্যা হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়।’