Karnataka Congress Leader Daughter Stabbed: প্রস্তাব ফেরানোয় কলেজ ক্যাম্পাসেই এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ, খুন কংগ্রেস নেতার মেয়ে
এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
কর্নাটকে হাড়হিম করা ঘটনা। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্য়েই কংগ্রেস নেতার মেয়েকে কুপিয়ে খুন। ছুরির কোপ মেরে কংগ্রেস নেতা নীরঞ্জন হীরেমাথের মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।নিহতের নাম নেহা হীরেমাথ। কর্নাটকের কেএলই টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্য়ালয়ে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের স্নাতকোত্তরের (MCA) প্রথম বর্ষে পড়তেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নেহার পরিচিত। ফয়জ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে নেহাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ফয়জও ওই একই কলেজে পড়ত। তবে পরীক্ষায় ফেল করেছিল সে। খুনের পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।
হুব্বালি ধরওয়াদের পুলিশ কমিশনার রেনুকা সুকুমার জানিয়েছন, অপরাধের পর পালিয়ে গেলেও আমরা তাকে ৩০ মিনিটের মধ্য় গ্রেফতার করেছি। অন্যান্য় পড়ুয়াদের আমরা জানতে পেরেছি নেহা ও অভিয়ুক্ত একে অপরের পরিচিত ছিল। একই সঙ্গে পড়াশোনা করেছে তারা। তবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আরও তথ্য় উঠে আসবে।' দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ফয়জ বেলাগাভি জেলার সাভাদত্তির বাসিন্দা। ফয়জ সরকারি স্কুলের শিক্ষকের ছেলে। ছয় মাস আগে পরীক্ষায় ফেল করার পর কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল সে। সে নেহার সহপাঠীও ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনা। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি-তে ধরাও পড়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নেহা পিছনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ফয়জের সঙ্গে সামান্য কথোপকথনে জড়ান। হঠাৎই ফয়জ তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। পরপর এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নেহা। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নেহার দেহ কেম্পিগোডা ইনস্টিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (KIMS) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নেহার বাবা নীরঞ্জন হীরেমাথ হুব্বালি ধারওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (HDMC) কংগ্রেস কাউন্সিলর।
অন্যদিকে, দিল্লির ব্যস্ত উড়ালপুলের উপর এক পুলিশ অফিসারকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তারপর নিজেই আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত। কেন এমন কাণ্ড ঘটাল ওই ব্যর্তি তা জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ। মৃত অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। মঙ্গলবার পৌনে ১২টা নাগাদ উত্তর-পূর্ব দিল্লির মিটনগর এলাকার এক উড়ালপুলে উঠে মুকেশ কুমার নামে এক ব্যক্তি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সে সময় ওই সেতুর উপর দিয়ে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব-ইন্সপেক্টর দীনেশ শর্মা। তাঁর বুকে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনি। ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা দীনেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।