• বিজেপিকে সাহায্য করবে বলেই ভিক্টর প্রার্থী: তৃণমূল নেত্রী
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করতেই আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর) ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোটে বিভাজন ঘটানোই কংগ্রেস প্রার্থীর মূল লক্ষ্য বলেও অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর। একদা প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির গড় বলে চিহ্নিত রায়গঞ্জে এবার হাত চিহ্নে লড়াই করছেন ভিক্টর।এক সময়ে ফরোয়ার্ড ব্লকের ডাকাবুকো যুব নেতা ছিলেন তিনি। চাকুলিয়া থেকে বিধায়কও হয়েছিলেন। ভিক্টরকে সামনে রেখে কংগ্রেস হারানো দুর্গ পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগী হওয়ায় মমতার আক্রমণের মুখে পড়েছে দেশের গ্র্যান্ডওল্ড পার্টি।

    রায়গঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে ইসলামপুরে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘আব্দুল করিম চৌধুরী, কানহাইয়ালাল আগরওয়াল, গোলাম রব্বানি যা বলেছেন তার সঙ্গে আমি একমত। যিনি কংগ্রেস থেকে এখানে দাঁড়িয়েছেন আগে ফরোয়ার্ড ব্লক করতেন। হেরে গিয়ে কংগ্রেসে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন কেন? তার কারণ তৃণমূল যাতে না জিততে পারে। ভোট কাটলে বিজেপি তাঁকে অনেক কিছু দেবে। ভোট কাটার জন্য সে দাঁড়িয়েছে কেন জানেন? যদি কিছু মুসলিম ভোট কাটা যায় তৃণমূলকে যাতে হারানো যায়।’

    মমতার আক্রমণের মুখে আলি ইমরান রামজ বলেন, ‘তৃণমূলের যিনি প্রার্থী সেই কৃষ্ণ কল্যাণী তো বিজেপির নেতা। রায়গঞ্জে বিজেপি বলছে তাঁদের দুজন প্রার্থী রয়েছে। একজন জোড়াফুল চিহ্নে, অন্যজন পদ্মফুল নিয়ে। তৃণমূলনেত্রী নিজেই তো বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন।’

    রায়গঞ্জে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীকে মমতা একটিও ভোট না দেওয়ার জন্য জনতাকে আর্জি জানালেও জাতীয় স্তরে তিনি ইন্ডিয়া জোটেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি আপনাদের পরিষ্কার বলছি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি আমি। আগামী দিনে চালাব আমরাই। কিন্তু বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নেই। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসই ইন্ডিয়া জোট। বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করছে তৃণমূল। এখানে বিজেপির হয়ে কাজ করছে সিপিএম। কংগ্রেসও এখানে বিজেপির হয়ে কাজ করছে।’

    রাজ্যের মন্ত্রী গুলাম রব্বানির ভাই গুলাম হায়দার কয়েক দিন আগে অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে জোড়াফুল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। মন্ত্রী-ভ্রাতার তৃণমূল ত্যাগকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চান না মমতা। তিনি এ দিন বলেন, ‘গুলাম রাব্বানির ভাই চলে গিয়েছে বলে কেউ কেউ বাড়াবাড়ি করছে। একটি পরিবারে সবাই কি এক থাকে? তার সঙ্গে কিন্তু গুলামের কোনও সম্পর্ক নেই।’
  • Link to this news (এই সময়)