Calcutta High Court : ধর্মতলা-বাবুঘাটে বেআইনি বাসস্ট্যান্ডে বিরক্ত হাইকোর্ট
এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: রুট পারমিট ছাড়াই বাবুঘাটে গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের স্ট্যান্ড নিয়ে খড়্গহস্ত হাইকোর্ট। নির্দেশ সত্ত্বেও ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে রুটের বাইরের বাস দাঁড় করানো নিয়েও চরম বিরক্ত হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ রাজ্যের বাসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলল আদালত। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, শুধু শোকজ করলে হবে না। ব্যবস্থা নিতে হবে।প্রয়োজনে বাতিল করতে হবে নির্দেশ না-মানা বাসের লাইসেন্স। বৃহস্পতিবার পরিবহণ দপ্তরের কাছে এই দুই জায়গায় বেআইনি বাস দাঁড় করানো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে হাইকোর্ট। ধর্মতলা ও বাবুঘাটে বেআইনি বাস দাঁড় করানো নিয়ে মামলাকারীর অভিযোগ, বহু বাস চলাচল করছে রুটের অনুমতি ছাড়াই। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শুধুমাত্র শো-কজ ও জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, বাসে জিপিএস লাগানোর ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তর কী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তা আদালতে জানাতে হবে। প্রধান বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘অন্য রাজ্যের লোকাল বাসে পর্যন্ত ফ্যান লাগানো থাকে। আমার রাজ্যে (তামিলনাড়ু) আসুন, দেখবেন কী রকম বাস সার্ভিস। বেআইনি বাস চলতে থাকলে যে কেউ যে কোনও রাস্তায় দশ-বিশ জন করে যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে থাকবে!’
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের সচিব ও ডেপুটি কমিশনার ট্র্যাফিককে নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। রাজ্যের কৌঁসুলি অমল সেন জানান, কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, এমন বেআইনি বাস দাঁড় করানোয় ৭৪টি ক্ষেত্রে শো-কজ করা হয়েছে। নথি দেখে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কিন্তু শো-কজের পর কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন!
আদালতের নির্দেশ, এই সব বাসকে একবার ফাইন করার পরেও সেগুলি নিয়ম মেনে চলছে কিনা, তা দেখতে হবে। না হলে আদালতের নির্দেশে লাভ নেই। পাশাপাশি, রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরকে অনুসন্ধান করে দেখতে হবে এই বাসগুলির কোনগুলির ইন্টার স্টেট অনুমোদন আছে বা নেই। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, যে কমিটি গড়া হয়েছিল, সেখানকার সদস্যরা যখন রাস্তায় বেরোচ্ছেন, যাত্রীদের হেনস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কিনা, সেটাও তাঁদের দেখতে হবে।