স্বেচ্ছাবসর নিলেন NCB কর্তা সঞ্জয় সিং। বলিউড সুপার স্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় ক্লিন চিট দিয়েছিলেন সঞ্জয় সিং। NCB-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিংয়ের স্বেচ্ছাবসর রাজ্য সরকার দ্রাবা অনুমোদিত হয়েছে। তাঁর কাজের শেষ দিন হবে ৩০ এপ্রিল। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তিনি স্বেচ্ছাবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন।কর্ডেলিয়া মাদক তল্লাশি মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের ভূমিকা এবং নির্দোষ প্রমনি করার জন্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া আইপিএস অফিসার হলেন সঞ্জয় কুমার সিং। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্বেচ্ছাবসর নিলেন কেন এই প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় জানিয়েছেন, ব্যাক্তিগত কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ওড়িশা ক্যাডারের ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুম্বইয়ে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা। তবে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় একবছর আগেই ভিআরএসের জন্য আবেদন করেন তিনি। গত ১৬ এপ্রিল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার।
তিনি এবিষয়ে বলেন, ‘আমার একটি সফল ক্যারিয়ার ছিল। ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২০০৮ সাল থেকে ২০৫ সালেরমধ্যে সিবিআইয়ে থাকাকালীন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওপি চৌতালার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ, ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের দুর্নীতি মামলা, মেডিক্যাল কাউন্সিলঅফ ইন্ডিয়ার অনিয়ম এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সহ বেশ কয়েকটি হাইপ্রোফাইল মামলা পরিচালনা করেছিলেন সঞ্জয় সিং।
সঞ্জয় সিংয়ের বস, এনসিবির ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান জানিয়েছেন, ‘সঞ্জয় সিং একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পেসাদার যিনি প্রতিটি জায়গায় কাজ করেছেন। তার তদন্ত দক্ষতা ছিল পুঙ্খানুপুঙ্খ। এটা এনসিবির ক্ষতি, এখানে থাকাকালীন ও আমাদের জন্য সম্পদ হয়ে উঠেছিল।’
সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিরাদাবি করেছেন যে, তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তার মামলাগুলি শক্তিশালী নথি, সমর্থনযোগ্য এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিয়ে তৈরি করতেন এবং একটি মামলাকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন আদালতের দ্বারা নির্ধারিত আইনি পদ্ধতি এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করে চলতেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে এনসিবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ওড়িশার অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ছিলেন। মাদকের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের টাস্কফোর্সের তদারকি করতেন। তারও আগে তিনি ভুবনেশ্বরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন।
আরিয়ান খান মামলারতদন্ত চলকালীন সঞ্জয় তাঁর তদন্তের তদারকি করতে একাধিকবারমুম্বই গিয়েছিলেন এবং সমস্ত বিবৃতি খতিয়ে দেখেন। এরপরে বিশেষ দল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে আরিয়ানকে অভিযুক্ত করার মতো কোনও প্রমাণ নেই।
তদন্তে কেন্দ্র এনসিবির প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এবং আরিয়ান খান সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।