'জেলাজুড়ে গণ প্রতিরোধ', তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ নিশীথের
এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনে সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। আর এবার সেই অশান্তি নিয়ে সরাসরি তৃণমূলকে নিশানা করলেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন নিশীথ সরাসরি অভিযোগ করেন, 'মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল, কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।'এই বিষয়ে নিশীথের আরও অভিযোগ, 'তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপির পোলিং এজেন্ট, ভোটারদের সকাল থেকেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যদিও আমাদের এখানকার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, পৌরভোটে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আর সেই কারণেই গোটা জেলাজুড়ে গড়ে উঠেছে গণ প্রতিরোধ।' এদিন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ফুটে ওটে নিশীথের গলায়। তাঁর দাবি, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে হারবে, তাই এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে।
ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তেজনাপ্রসঙ্গত, ভোটের আগের রাতে থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। হাঁসুয়া নিয়ে তৃণমূলকর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দলের বুথ সভাপতির বাড়িতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালান হয় বলে অভিযোগ। হাঁসুয়ার কোপে গুরুতর আহত হন এক শাসকদলের এক কর্মী। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। যদিও, তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি, সাসকদলই নিজেদের মধ্য়ে গন্ডগোল করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে মাথাভাঙাতেও তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে। টাকা এবং মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এক্ষেত্রেও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিকে কোচবিহারের রাজাখরায় শাসকদলের ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে তুফানগঞ্জেও তৃণমূলের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
এদিকে শীতলকুচির ছোলশালবাড়ি অঞ্চলের অন্তর্গত জমিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে ফেরার পথে আক্রান্ত এক যুবক। আহত যুবকের নাম বিনোদ সরকার। ডানচোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁর। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে আক্রমণ করে এবং চোখে পাথর মারে। এরপর ওই ভোটারের চোখ থেকে রক্ত বের হতে থাকে। ওই পরিস্থিতিতেই যাহোক করে বাড়ি পৌঁছন তিনি। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। ওই যুবকের বড় চিকিৎসার প্রয়জন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।