এই সময়, বহরমপুর: রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি ও গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বুধবার অন্তত ১৭ জন আহত হন। বেশ কিছু বাড়ি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ। আহত হন শক্তিপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায়ও।বুধবার রাতে আহতদের দেখতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে যান অধীর। বিজেপির জেলা নেতারা সেই সময়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে তদারকি করছিলেন। অধীর হাসপাতালে পৌঁছতেই বিজেপি কর্মীরা গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে। বিজেপি জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারকে গলায় হাত দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অধীরের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস কর্মীরাও তেড়ে যান বিজেপি কর্মীদের দিকে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
বহরমপুর থানার পুলিশ কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অধীর। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচনী সমীকরণের দিকে তাকিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি তৈরি করা হয়েছে। ছ’দিন ধরে শক্তিপুরে অশান্তি হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। অশান্তি রুখতে যে পদক্ষেপ করার তা আমি করব।’
পাল্টা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, ‘অধীর চৌধুরী যে প্ররোচনা দিয়েছেন, তার ভিডিয়ো আমাদের কাছে আছে। মৌলবাদকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। উনি নাটক করতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন।’ বৃহস্পতিবারও শক্তিপুরের পরিস্তিতি ছিল থমথমে। বিভিন্ন রাস্তায় ছিল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। বুধবার রাতের ঘটনার জেরে এদিন দুপুরে বহরমপুরে বাসট্যান্ডে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে এই অশান্তির জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর দাবি পরিকল্পিত ভাবে এই অশান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। রামনবমীর মিছিলে রাজ্যের আর কোনও জায়গায় সেরকম ভাবে কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি।