অর্ণবাংশু নিয়োগী: লোকসভা ভোটের মুখে কেন সিবিআইয়ের নোটিস? কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্ত হলেন ১৩ জন। সকলেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অভিযুক্ত। নোটিশ খারিজের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। শুনানি সোমবার।
ঘটনাটি ঠিক কী? ৩ বছর পার। একুশের বিধানসভা ভোটের পর পূর্ব মেদিনীপুরের মরিশদা থানা এলাকায় খুন হন বিজেপি কর্মী জনমেজয় দলাই। ভোট পরবর্তী হিংসায় ১৩ অভিযুক্তকে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। কবে? চলতি মাসেই। সেই নোটিস খারিজের আর্জি জানিয়ে এবার মামলা দায়ের করা হল হাইকোর্টে।এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সোরেন। বাদ যাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিও। এমনকী, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদি শুনানিতে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্য়ে বোঝাতে ঘটনাক্রম তুলে ধরেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাঁর দাবি, ভোটের সময়ে তৃণমূলের প্রচার আটকাতেই এই নোটিস।তখনও লোকসভা শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেনরা। দাবি, 'NIA, সিবিআই, ইডি ও আইটি প্রধানকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে'। কিন্তু স্মারকলিপি দেওয়ার পর যখন বাইরে ধরনায় বসেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেনরা, তখন তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে পুলিস প্রিজন ভ্য়ানে তোলে বলে অভিযোগ। এরপর রাজভবনে গিয়ে দু'বার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক। চিঠিও দেন কমিশনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে।