• Kolkata Municipal Corporation : মুরারিপুকুরে খোঁজ মিলল হেলে পড়া আবাসনের
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে ফের একটি হেলে পড়া বহুতলের খোঁজ মিলল শহরে। উত্তর কলকাতার মুরারিপুকুরে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এমন একটি পাঁচতলা আবাসনের। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে খবর, মানিকতলা এলাকায় এ রকম প্রায় পাঁচটি বাড়ি রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়িটি এলাকায় অরবিন্দ ভবন বলে পরিচিত। দীর্ঘ দিন ধরে ওই অবস্থায় রয়েছে। সেখানে মানুষও বসবাস করছেন। কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমল চক্রবর্তী বলেন, ‘সমস্যা নজরে আসার পরেই আমরা ওই বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করেছি।’ ওই আবাসনে মোট চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতি ফ্ল্যাটে একটি করে পরিবার বসবাস করে।

    পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে এই বাড়ির সমস্যা নিয়ে কলকাতা পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে মানিকতলা থানার আধিকারিকদের আলোচনা হয়েছে। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের একাধিক আধিকারিক জানাচ্ছেন, যে প্লটটিতে আবাসন রয়েছে সেখানকার মাটির সমস্যার কারণে এমন হতে পারে। তবে বারবার সতর্ক করার পরেও আবাসিকরা ফ্ল্যাট ছাড়েননি। আর আদালতের নির্দেশে পুরসভা কাউকে জোর করে তাঁর বাসস্থান থেকে বের করে দিতে পারে না। তাই বিপদের কথা আবাসিকদের অনেকবার জানানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই আবাসনকে ফাঁকা করার জন্য পুরসভা জানালে আমরা সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

    পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের হেলে পড়া বাড়ি যন্ত্রের সাহায্যে সোজা করার কাজ করে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থা। শহরের অনেক জায়গার আবাসিকরা ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি সোজা করার ব্যবস্থা করেন। মুরারি পুকুরের সমস্যা নিয়েও পুরসভার আধিকারিকরা ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সংস্থার তরফে পুরসভাকে কিছু জানানো হয়নি।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচের রামনগর লেনে আরও একটি বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভাঙার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। কলকাতা পুরসভার চালু করা নতুন অ্যাপের সাহায্যে এই বেআইনি নির্মাণটি কিছু দিন আগেই চিহ্নিত করে ছিলেন ১৫ নম্বর বরোর বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা।
  • Link to this news (এই সময়)