• Kolkata Paan Shop : বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যে বিপুল আয়ের সম্ভাবনা
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: বরফের উপর রাখা সারি সারি পান। গত প্রায় একশো বছর ধরে কত মানুষ যে ওই দোকানের পান খেয়েছেন, তার হিসেব নেই। দোকানের খদ্দেরদের তালিকা জানতে চাইলে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহম্মদ মনিরুদ্দিন শুরুই করেন মহম্মদ রফির নাম দিয়ে। পরের নামগুলোও কম বিখ্যাত নয় — কখনও গোলাম আলি, কখনও দিলীপকুমার। কলকাতায় এসে ঘণ্টাকয়েক সময় পেলেই নিউ মার্কেট চত্বরের ‘তাজ পান শপ’ থেকে এক খিলি পান খাননি, এমন বিখ্যাত লোকের লিস্ট লম্বা। ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে সেই দোকানের মালিক মহম্মদ মনিরুদ্দিনকে বিশেষ সম্মান দিলেন শহরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে কর্মরত সংস্থা ‘পুরোনো কলকাতার গল্প’র সদস্যরা।রাজ্যের প্রতি প্রান্তেই ছড়িয়ে ইতিহাসের কত মণিমানিক্য। অথচ তা নিয়ে উদাসীন রাজ্যবাসীদের বড় অংশ। যেখানে বসে রাজ্য তথা দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তেমন বাড়িও নেহাত কম নয়। কিন্তু ‘হেরিটেজ’ তকমা পাওয়া বাড়িগুলির ‘পাহারাদার’ হয়ে থাকলেই লাভের লাভ কিছু হবে না। সেগুলির সঙ্গে আমজনতার আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করতে না-পারলে শেষ পর্যন্ত ওদের বাঁচানো সম্ভব নয়। হেরিটেজ বাড়িগুলিকে বাঁচাতে বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে এক অভিনব উদ্যোগের কথা ঘোষণা করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন-ও।

    বৃহস্পতিবার ওয়ার্লড হেরিটেজ ডে উপলক্ষ্যে এক আলোচনাসভায় রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন শহরে অনামী অখ্যাত কোনও গলির মধ্যে কোনও হেরিটেজ বাড়ি থাকলে ওঁরা সেই বাড়িকে শুধু চমৎকার ভাবে রক্ষাই করেন না, ওই ধরনের বাড়িতে কখনও আর্ট গ্যালারি, কখনও বা নানা ধরনের ক্যাফে তৈরি করে আয়ের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করেন। এই ব্যবস্থা এখানেও চালু হয়েছে।’

    উদাহরণ হিসেবে কাশিমবাজার রাজবাড়ি বা মুর্শিদাবাদের ‘বড়িকোঠির’ উল্লেখ করা হয়। জোর দেওয়া হয় এ ধরনের বাড়িগুলির সংস্কার করে সেগুলি ব্যবহারযোগ্য করে তোলার উপরেও। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানেও জোর দিতে বলা হয়। এক কথায় — হেরিটেজকে মূলধন করে কিছু করতে হলে সেই উদ্যোগে সম্ভাব্য সকলকে সামিল করার বার্তাই দেওয়া হয়।
  • Link to this news (এই সময়)