তেলেঙ্গানায় একটি নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন হায়দরাবাদের বিজেপি প্রার্থী মাধবী লাথা একটি মসজিদের দিকে নির্দেশ করে একটি কাল্পনিক তীর ছুঁড়েছেন বলে অভিযোগ। আর তাই নিয়েই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি রাম নবমীর সমাবেশে মাধবীর এই অঙ্গভঙ্গির সমালোচনা করেছেন। এটিকে প্রদাহজনক বলে অভিহিত করেছেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে মাধবী লাথাকে একটি মোড়ে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। জাফরান রঙের তোয়ালে জড়ানো মাধবী লাথা উত্তেজিত জনতার দিকে তাকান। এরপর বাতাসে তাঁর হাত দিয়ে তিনটি ধনুক তৈরি করে তা কাল্পনিকভাবে বাতাসে মারেন। সেইসময় জোরে গানও বাজছিল। ভিডিয়োয় দেখা যায় যে বিজেপি নেত্রী যে দিকে নিশানা করছেন সেখানে একটি মসজিদ আছে।
ভিডিয়োটি অসম্পূর্ণ দাবি, বিজেপি প্রার্থীর
বৃহস্পতিবার বিতর্কিত বিজেপি প্রার্থী মাধবী লাথা সোশ্যাল মিডিয়ায় এর একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ক্ষমা চাোয়ার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমার নজরে এসেছে যে নেতিবাচকতা তৈরি করতে আমার একটি ভিডিয়ো মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করতে চাই যে এটি একটি অসম্পূর্ণ ভিডিয়ো এবং এমন ভিডিয়োর কারণে সারো অনুভূতিতে আঘাত লাগলে আমি ক্ষমা চাইতে চাই কারণ আমি সবাইকে সম্মান করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাম নবমী উপলক্ষে আমি আকাশের দিকে নির্দেশ করে একটি কাল্পনিক তীর ছুঁড়েছিলাম। তাহলে মসজিদ কোথা থেকে এলো? এই লোকেরা (এআইএমআইএম) সবসময় এখানে বিজেপি নেতাদের সাইডলাইন করার জন্য ঘৃণাত্মক বক্তৃতাদেয় এবং মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারা যুবকদের উস্কে দিতে পারদর্শী হয়ে উঠেছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র।’
অন্যদিকে, হায়দরাবাদের সাংসদ এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মাধবী এবং বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন ‘হায়দরাবাদের জনগণ বিজেপির উদ্দেশ্য দেখছে। তারা বিজেপি, আরএসএস এর অশ্লীল ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মেনে নেবে না। এটাই কী উন্নত ভারতের কথা বিজেপি বলছে? আমি আত্মবিস্বাসী যে তেলেঙ্গানার মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করবে না।’ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছে ওয়াইসির দল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে ওয়াইসি এবং ১৯৮৯ সাল থেকে তাঁর বাবা সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসির দখলে রয়েছে হায়দরাবাদ আসনটি। হায়দরাবাদ ছাড়াও তেলেহ্গানায় ১৬ টি লোকসভা আসন রয়েছে যার মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি জিতেছে। কংগ্রেস জিতেছে তিনটিতে। এআইএমআইএম পেয়েছে একটি।