এই সময়: কলেরার প্রাদুর্ভাব অনেক আগেই অতীত হয়েছে। এখন বদলেছে কাজের ধরন এবং দায়িত্বও। অ্যান্টিবায়োটিক রেজ়িস্ট্যান্স নিয়ে এখন বড়সড় কাজ করছে কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর অধীনস্থ কলকাতার এই প্রতিষ্ঠান।সেই প্রেক্ষাপটে বদলাল বেলেঘাটার ৬২ বছরের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজ়িজ়েস বা নাইসেড-এর নাম। নয়া নাম - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। আইসিএমআর-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশক (প্রশাসন) জগদীশ রাজেশ এক মেমোয় এ কথা জানান।
কেন্দ্রীয় আদেশে বলা হয়েছে, সময়ের তাগিদে এখন অ্যান্টিবায়োটিক রেজ়িস্ট্যান্স নিয়ে কাজ জরুরি। তাই শুধু নাম নয়, প্রাতিষ্ঠানিক খোলনলচেও বদলানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের। যেখানে শুধুমাত্র ডায়েরিয়া বা কলেরা নয়, কাজের বৃহত্তর ক্ষেত্র হবে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ।
পাশাপাশি নাম বদলেছে আইসিএমআর-এর অধীন আরও তিন সংস্থার। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল স্ট্যাটিসটিক্স (নিমস) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্যাথলজি (নিপ) এবং পুনের ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নারি)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, নিমস যে উদ্দেশ্যে স্থাপিত হয়, সে কাজও অনেকাংশে মিটে গিয়েছে। এখন দরকার অন্য কাজ। তাই প্রতিষ্ঠানের নতুন নাম হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন ডিজিটাল হেলথ অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স। কাজের পরিধিও হবে সঙ্গতি রেখে। কাজ ফুরিয়েছে নিপ-এরও। ওই প্রতিষ্ঠানকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে নাম দেওয়া হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।
আর পুনের নারি-রও এখন শুধু এইডস নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। কাজের পরিধি বাড়িয়ে নয়া নাম হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রান্সলেশনাল ভাইরোলজি অ্যান্ড এইডস রিসার্চ। পুনেতেই আইসিএমআর-এর আর এক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (নিভ)-র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠান।