দুই 'বন্ধু'র সাক্ষাৎ, কেক কাটা, চায়ের আড্ডা, কুশল সংবাদ বিনিময়, সঙ্গে অল্পবিস্তর রাজনৈতিক কথাবার্তা। এভাবেই কেটে গেল বুধবারের সন্ধেটা। আর এই দুই 'বন্ধু' হলেন দিলীপ ঘোষ ও সুনীল মণ্ডল। আসলে বুধবার ছিল দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। আর সেই দিন সন্ধেতেই সুনীল মণ্ডলের বাড়িত গেলেন দিলীপ। সেখানে দিলীপের জন্মদিন উপলক্ষে কেকও কাটেন সুনীল, চলে চায়ের আড্ডা।এই বিষয়ে পরে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'সুনীলদা আমার পুরনো বন্ধু, চা খেয়ে এলাম গিয়ে। আমার জন্মদিন ছিল বলে কেক কাটল।' তবে রাজনৈতিক কোনও কথা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, 'কিছুই করছে না, কী রাজনৈতিক কথা বলব!' তাহলে কি দলে আসতে আহ্বান জানান হয়েছে সুনীলকে? জবাবে দিলীপ বলেন, 'দলেই আছেই, আমি অনুরোধ না করতেই দলে চলে এসেছিল। আমি কাউকে বলি না, এলে নিয়ে নিই। অনেকদিন আগেই কথা হয়েছিল। বলেছিলেন, বর্ধমান এলে একবার আসবে। কালকে সন্ধেবেলা সময় ছিল, তাই ঘুরে এলাম।'
এদিকে এই প্রসঙ্গে সুনীল মণ্ডল বলেন, 'আমিও একজন সাংসদ, ও একজন সাংসদ, আমি যদি প্রার্থী হতাম, ও যদি অন্য দলের হত, আমিও আসতাম।' তবে সাম্প্রতিককালে তিনি রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে সরেই থাকছেন বলে জানান সুনীল মণ্ডল। পাশাপাশি এবারে নির্বাচনের কাজে দল তাঁকে ডাকেনি বলেও জানিয়ে দেন সুনীল। তিনি বলেন, 'দল আমাকে ডাকেনি। আর আমি প্রথমেই বলবে দিয়েছি, আমি আমার এলাকায় যাব না। তার একটাই কারণ, পরে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান হবে। বলা হবে আমি গিয়েছিলাম বলেই হয়ত দল হেরে গিয়েছে। আমি রাজনীতি থেকে একটু দূরে সরে থাকতে চাইছি বলে নিজেও তেমন উদ্যোগী হইনি। আমার কোনও ক্ষোভ নেই।'
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল। তবে কিছুদিন পরে অবশ্য পদ্ম শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। একইসঙ্গে তৃণমূলের মঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। যদিও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান, বা পরে ফের তৃণমূলের মঞ্চে দেখা গেলেও নতুন করে সক্রিয় রাজনীতিতে আর বিশেষ দেখা যায়নি তাঁকে। এই বছর ভোটেও দাঁড়াননি তিনি। সেক্ষেত্রে দিলীপ ও সুনীল এই সাক্ষাৎকে সৌজন্যমূলক বললেও, ভোটের মরশুমে এটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।