• প্রার্থীকে নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা, বাধা BJP বিধায়ককে! ধুন্ধুমার জলপাইগুড়িতে
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার শিলিগুড়িতে। পুলিশের সঙ্গে চরম বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধেও তীব্র আক্রমণ বিজেপি বিধায়কের। পালটা, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল তৃণমূল নেতৃত্ব।শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা আসনটি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। রাজ্যের কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে আজ, শুক্রবার ভোটগ্রহণ চলছে। লোকসভার প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে একটি বুথে ঢোকার সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাধা দেয়। ওই বুথে বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেখানেই হাজির হয়ে বুথে ঢুকতে যান বিধায়ক। এরপরেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা তৈরি হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়।

    শুক্রবার ভোটের দিন সকাল থেকেই নিজের বিধানসভা এলাকার ঘুরছিলেন শিখা চট্টোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়কে নিয়ে একটি বুথে ঢুকতে যান তিনি। সেখানেই তাঁকে বাধা প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ। বুথের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে আটকায় তাঁকে। নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সেই কেন্দ্রের ভোটার না হলে তিনি বুথে ঢুকতে পারবেন না। এরপরেই দুইপক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়।

    দিনভর ব্যস্ততা, সকাল সকাল ভোট দান তৃণমূল প্রার্থী নির্মলের

    দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। ব্যারিকেড দিয়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বিক্ষোভ আটকায় পুলিশ। বিধায়ককে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে গাড়ি করে ঘটনাস্থল ছেড়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এরপরেই পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনায় পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়। ৩৩ নাম্বার ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি।

    তিনি বলেন, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ এ কাজ করছে। সকালে পুলিশ ফোন করে তাঁকে বুথে যেতে মানা করেছে বলে দাবি। এমনকি, পুরুষ পুলিশকর্মীরা তাঁকে টানা হেঁচড়া করেছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। মেয়র গৌতম দেবের নির্দেশে পুলিশ এ কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক। পালটা বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘প্রথম থেকেই উনি ওই এলাকায় প্ররোচনার সৃষ্টি করছেন। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বুথে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন। বুথের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এটা করতে পারেন না।’
  • Link to this news (এই সময়)