দলের ক্যাম্পে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু একনিষ্ঠ সিপিএম কর্মীর, মর্মান্তিক ঘটনা ধূপগুড়িতে
এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিনেই মর্মান্তিক ঘটনা জলপাইগুড়ি জেলায়। ভোটের কাজ সামলানোর সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক সিপিএম কর্মীর। মৃত কর্মীর নাম প্রদীপ দাস (৫৮)। কর্মীর অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ স্থানীয় বাম নেতৃত্ব।তপ্ত গরমের মধ্যেই রাজ্যের তিনটি লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট সংগঠিত হয়। শুক্রবার সকালে ধূপগুড়ি ব্লকের বিনয় শা মোড় এলাকায় এক সিপিএম কর্মীর হঠাৎ মৃত্যু হয়। ১৫/১২৪ নম্বর বুথের বাইরে সিপিএমের অস্থায়ী ক্যাম্পে দলের কাজ সামলাচ্ছিলেন ওই কর্মী। হঠাৎ করে অসুস্থতা বোধ করেন তিনি।
বিষয়টি লক্ষ্য করেন তাঁর দলের অন্যান্য কর্মীরা। অসুস্থতার কারণে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর অকাল মৃত্যুতে হাসপাতালে ভেঙে পড়েন দলের অন্যান্য কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় ওই কর্মীর পরিবারের লোকজনকেও। শোকের ছায়া ওই ব্যক্তির পরিবারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ দাস দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। সিপিএম দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তাঁর পরিবারের স্ত্রী, এক ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সিপিএম দলের স্থানীয় এক নেতা বলেন, ‘কাল অনেক রাত পর্যন্ত পার্টির কাজ করেছিল ও। আজ সকাল থেকেই ফের পার্টি ক্যাম্পে চলে আসেন। কিন্তু হঠাৎ সেখানে বসেই অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা কর যায়নি।’ তিনি জানান, ও আমাদের দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। দীর্ঘদিন থেকে পার্টির কাজ করত। ভোটের সময় এভাবে আচমকা ও চলে যাবে এটা আমরা কেউ ভাবতে পারিনি, খুব খারাপ লাগছে।
ওই কর্মী হঠাৎ কেন অসুস্থ হয়ে গেল, তাঁর আগে থেকে কোনও শারিকিক অসুস্থতা ছিল কিনা, সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। তবে, ভোটের দিন সকালে এই রকম ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কোচবিহারের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক ইনসপেক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাথরুমে অচেতন হয়ে পড়ে যান ওই জওয়ান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।