জীবন্ত ভোটার তালিকায় ‘মৃত’, অধিকার প্রয়োগই হল না বৃদ্ধর
এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
পিনাকী চক্রবর্তী৭২ সাল থেকে ভোট দিয়ে আসছেন তিনি। নিজের মতামত দান করতে গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসবে যোগদান করেন প্রত্যেকবারই। কিন্তু, বাধা পড়ল এবার। নিজের ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারলেন না আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার সুনীল সাহা।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জটেশ্বরে শুক্রবার সকালে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন, তিনি নাকি ‘মারা গিয়েছেন’। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাঁকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই। ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে এলেন সুনীল সাহা। একজন জলজ্যান্ত ব্যক্তি মৃত হন কী করে? ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে চিহ্নিত করা হল কী ভাবে? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না সুনীল সাহা।
শুক্রবার ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে। সুনীল সাহা জটেশ্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। এদিন সকালে ১৩/১৩৮ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। নিয়ম মাফিক লাইন দিয়ে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে পরিচয় পত্র দেখাতেই এল বাধা। ভোটার তালিকা অনুযায়ী তিনি ‘মৃত’। ভোটের ডিউটিতে থাকা অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি। সেই কারণেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সুনীল বলেন, ‘লাইনে দাঁড়ালাম। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গেলাম। এরপর পরিচয় পত্র দেখাতে অফিসার বললেন, আপনার নাম ডিলিট হয়ে গিয়েছে। আমি কেন জিজ্ঞাসা করতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলেন। কথা বলার পর জানালেন, আমাকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু, জীবিত ব্যক্তির নাম বাদ গেল কী ভাবে বুঝলাম না।’ তাঁর কথায়, তিনি ৭২ সাল থেকে ভোট দিয়ে আসছেন। কিন্তু, জিবির থাকাকালীন তাঁকে কে মৃত বলে ভোটার তালিকায় উল্লেখ করল, সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলায় ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের একজন ভোটার বাসন্তী দাস ভোট দিতে পারেননি। সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৫/১৮৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলেও তাঁকে ভোটার তালিকায় মৃত বলে দেখানোয় ভোট দিতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়ে দেন, ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম ডিলিট হয়ে গিয়েছে, সেই কারণে তাঁকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।