• তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ নিয়ে সমস্যা অব্যাহত, জট কাটছে না ভাবাদিঘির
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ভাবাদিঘির জট কাটছে না কিছুতেই। পূর্ব রেলের নির্মাণ বিভাগের কর্তারা এসে পরিদর্শন করলেও পরিস্থিতির বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি। ভাবাদিঘিকে সামনে রেখে আন্দোলনকারীরা আশা করছিলেন, তাঁদের দাবিতে সিলমোহর পড়বে। কিন্তু তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর রেল সংযোগের জট কি মিটল?‌ উঠছে প্রশ্ন। গোঘাটের ‘ভাবাদিঘি জট’ কাটল না এবারেও। রেলকর্তারা ভাবাদিঘি পরিদর্শন করে পশ্চিম অমরপুরে যান। সেখানে সমস্যা কাটানোর একটা আশ্বাস মিলেছে। তবে এই জট কাটিয়ে কাজ করতে পারলে এবং তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ গড়ে উঠলে বিরাট পথ খুলে যাবে।

    ইতিমধ্যেই ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার, হাওড়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার। কিন্তু গ্রামবাসীরা ওই দিঘির একাংশ বুজিয়ে ফেলে রেলপথ নির্মাণে আপত্তি তুলেছেন। তাই নিয়ে চলছে আন্দোলন। বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে। রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা এখানে আসায় গ্রামবাসীরা ভাবতে শুরু করেছিলেন, তাহলে বোধহয় নকশা পরিবর্তন করে রেল সংযোগ গড়ে উঠবে। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। এই বিষয়ে ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’র সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, ‘‌রেলের নির্মাণ বিভাগের কর্তারা এসেছিলেন বলে ভাবলাম সমস্যা মিটবে। কিন্তু তাঁরা আগের নকশা অনুযায়ী কাজ করতে চান। তাইর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।’

    আরও পড়ুন:‌ রাজ্যের ১২টি চিড়িয়াখানাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে, তৈরি হয়েছে মাস্টারপ্ল্যান

    গ্রামবাসীরা একদিকে রেল সংযোগ চান। আবার ভাবাদিঘি অক্ষুন্ন থাকুক সেটাও চান। রেল তা মেনে নিতে নারাজ। কারণ ওই নকশায় কাজ করলে খরচ কমবে। আবার ঘুরে যাওয়ার ব্যাপার থাকবে না। রেলের কর্তারা জানান, দিঘির একপ্রান্তে জলের কিছুটা অংশ নিয়ে রেল লাইনটা যাবে। সেক্ষেত্রে নকশা কোনও বদল করা যাবে না। তখনই আপত্তি তোলে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা বলছেন, রেল এমনভাবে কাজ করলে জলাশয়ের আয়তন কমে যাবে। এই বিষয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার (১) মনোজ বলেন, ‘‌শুধু ভাবাদিঘির সমস্যার জন্য আমরা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সামনে থমকে আছি। আলোচনার সময় গ্রামবাসীরা সবাই তেতে ওঠায় কথা বলে লাভ হয়নি। তাই আলোচনা এগোয়নি।’‌

    তবে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনকে একটা বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে এখন ভাবনাচিন্তা চলছে। ওই জায়গা রেলপথের জন্য মিললে যেটুকু জলাশয় নেওয়া হবে বিকল্পে তার থেকে বড় জলাশয় গড়ে দেওয়া হবে। এমনকী গাছ কাটা পড়লে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হবে। এখানে জমির দাম নিয়ে সমস্যা মিটলেও ভাবাদিঘির ভাগ দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা। সুতরাং সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেল। এই বিষয়ে ‘রেল চালাও, গ্রাম বাঁচাও’ কমিটির উপদেষ্টা ফটিক কাইতির কথায়, ‘‌আমাদের জল নিকাশির দাবির সঙ্গে ওঁরা একমত হচ্ছে না। আগামী শনিবার তাঁরা আবার আসবেন বলেছেন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)