• রাজ্যের ১২টি চিড়িয়াখানাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে, তৈরি হয়েছে মাস্টারপ্ল্যান
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • রাজ্যের ১২টি চিড়িয়াখানায় এবার আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে। নতুনভাবে ২০ বছরের নিরিখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে নতুন রূপে সাজানো হবে রাজ্যের মিনি জু থেকে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানাগুলিকে। আগামী জুলাই মাস থেকেই ধাপে ধাপে বদলাতে শুরু করবে চিড়িয়াখানাগুলি। ইতিমধ্যেই কলকাতার হরিণালয় এবং শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। পুরুলিয়া শহরের সুরুলিয়া মিনি জু পরিদর্শন করে এই সুখবর জানান ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী। তার জেরে দ্রুত হরিণালয়ে বাঘ–বাঘিনী এবং সিংহ–সিংহী আসছে।

    এই গোটা বিষয়টি চলতি বছরের দুর্গাপুজোর আগে সমাপ্ত হবে। ফলে দুর্গাপুজোর সময় পর্যটকরা তা দেখথে পারবেন। ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার সুরুলিয়া মিনি জু’‌কে সেখানকার পরিবেশ অনুযায়ী সাজানো হবে। সুরুলিয়ার মিনি জুকে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরি বলেন, ‘‌রাজ্যের ১২ চিড়িয়াখানার মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ঢেলে সাজানো হচ্ছে। হরিণালয় এবং বেঙ্গল সাফারির মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন মিলেছে। তাই হরিণালয়ে একজোড়া বাঘ ও সিংহ আসছে।’‌ জানা গিয়েছে, বাঘ–বাঘিনী আনা হয়েছে বেঙ্গল সাফারি থেকে। এবার সিংহ–সিংহী আসতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। যা দুর্গা পুজোর আগেই দেখতে পাবে সকলে।

    আরও পড়ুন:‌ রামনবমীতে মুর্শিদাবাদে ব্যাপক গোলমাল, কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ

    পুরুলিয়ার সুরুলিয়া চিড়িয়াখানায় চিতা বাঘ, ম্যাকাও এবং একাধিক ভাল্লুক, নেকড়ে হায়না নিয়ে আসা হবে। এই বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিবের কথায়, ‘‌পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে আমাদের ‘থিম’ হল সেখানকার ল্যান্ডস্কেপে সমস্ত বন্যপ্রাণ চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসে ডিসপ্লে করা। সুরুলিয়ার চিড়িয়াখানাকে বনমহলের থিমেই তুলে ধরা হবে।’‌ মাংসাশী এবং মাংসাশী নয় প্রাণীদেরকে পৃথকভাবে ডিসপ্লে করা হবে। পাখিদের ডিসপ্লেও থাকবে পৃথক। কোনও চিড়িয়াখানাতেই ছড়িয়ে থাকবে না বন্যপ্রাণ, পাখি। আলিপুর চিড়িয়াখানায় সেই কাজ শুরু হয়েছে। পাখির ডিসপ্লে সুন্দরভাবে করা হয়েছে। যা ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা পক্ষী চিড়িয়াখানার মর্যাদা পেয়েছে।

    এছাড়া সুন্দরবন বন্যপ্রাণী পার্ক, ঝড়খালি এবং কোচবিহার রসিকবিল মিনি চিড়িয়াখানা দারুণভাবে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান জমা পড়বে দার্জিলিং, হাওড়ার গড়চুমুকের। আলিপুরদুয়ারের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি মিনি চিড়িয়াখানা, বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং সুরুলিয়া মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে সেন্ট্রাল জু অথরিটির কাছে জমা পড়ে যাবে। মালদার আদিনা ডিয়ার পার্ক নিয়েও ভাবনা আছে বলে খবর। বন্যপ্রাণের এনক্লোজার, খাঁচা প্রাকৃতিক রূপে গড়ে তোলা হবে। সেখানে গাছ, খেলাধূলার সামগ্রী থাকবে। পাখির খাঁচায় থাকবে ফলের গাছ। ফ্লোয়িং ওয়াটার থাকবে। মাস্টার প্ল্যানে থাকবে কনজারভেশন ব্রিডিং।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)