• GTA শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিভিশন বেঞ্চেও মালুম হল ‘গরম’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (জিটিএ) শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ, শুক্রবার সেই নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল, সেই নির্দেশও বহাল রাখা হয়েছে। তার ফলে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিনই জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। তবে আজ পাহাড়ে ভোট নেই। আগামী ২৬ এপ্রিল পাহাড়ে ভোটগ্রহণ হবে।

    ২০২২ সালেই পাহাড়ের স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে জিটিএতে থাকাকালীন বিনয় এবং অনীত থাপারা দলের কর্মী, সমর্থক এবং তাঁদের পরিবার সদস্যকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছেন। সেই সংখ্যাটা কমপক্ষে ৫০০ হবে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ‘গোর্খা আনএমপ্লয়েড প্রাইমারি ট্রেনড টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-র তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল।

    তারইমধ্যে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টে দুটি বেনামি চিঠি এসেছিল। তারপরই সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। চলতি মাসের শুরুর দিকে যখন সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু, তখন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট জানান যে পুলিশ কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। অথচ পুলিশের কাজটা কঠিন ছিল না। বিধাননগর উত্তর থানার আইসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানতে চান যে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের কথা মতো এফআইআর দায়ের না করায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না?

    বিচারপতি বসুর নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, যে দুটি বেনামি চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে ঠিকানা হিসেবে কেওড়াতলা মহাশ্মশান দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠি আদৌও সত্যি কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাছাড়া ওই মামলায় পুলিশকে তদন্তের সময় দেননি বিচারপতি বসু। 

    যদিও রাজ্যের সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়ে দেয় যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল থাকছে। তবে রাজ্য পুলিশ আলাদাভাবে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। তাতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সিবিআই তদন্তের উপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।

    হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পরে গত সপ্তাহে জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তাতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম আছে। সূত্রের খবর, তাঁরা ছাড়াও এফআইআরে স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার, দেবলীনা দাস, প্রান্তিক চক্রবর্তীর মতো তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতাদের নাম আছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)