• গোষ্ঠীকোন্দল কাঁটায় বিঁধতে পারে তৃণমূলের সাফল্য, নির্মল মাজির বিরুদ্ধে বড় অংশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ছাড়া ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এই আবহে অন্যান্য জেলায় প্রচারে ঝাঁঝ বাড়লেও উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে একটা ফাটল দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক নেতা–কর্মী ক্ষুব্ধ। যার ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়নি। সুতরাং এই কেন্দ্রে বিরোধীরা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়েও লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    তৃণমূল কংগ্রেসের শুরু থেকে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য এবং পরে উপপ্রধানের পদ সামলানো নেতা এখন নিষ্ক্রিয়। তাঁর অভিযোগ, বিধায়কের তাঁবেদারি না করার জন্য তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাই তিনি টিকিট পাননি। শুধু তাই নয়, উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের জোয়ারগড়ি, তুলসীবেড়িয়া, বাণীবন, টিকে ২, বাসুদেবপুর–সহ একাধিক পঞ্চায়েতের বেশ কিছু নেতা–কর্মী বসে গিয়েছে। তাই বিজেপি এখানে ফায়দা তুলতে চাইছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাওড়া গ্রামীণের এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘বিধায়ককে বারবার বলেও সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করানো যায়নি। এটাই বড় সমস্যা।’

    আরও পড়ুন:‌ তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ নিয়ে সমস্যা অব্যাহত, জট কাটছে না ভাবাদিঘির

    এদিকে বিধায়ক নির্মল মাজি এসব কথায় কান দিতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁদের ক্ষমতার অলিন্দ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করছিলেন। দলকে ভাঙিয়ে তোলাবাজি করছিলেন। তাঁদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। অপকর্মের জন্য আগেই তাঁদের দল থেকে তাড়ানো হয়েছে।’ এসব অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পর একটা বিষয় থেকেই যায়। সেটি হল পরিসংখ্যান। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির ব্যবধান ছিল ১৪ হাজার ভোটের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান বেড়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল ২১ হাজার ভোটে। এমনকী ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে দুটি পঞ্চায়েত জিতেছিল ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই দুটি পঞ্চায়েত তৃণমূলের কাছে হেরে যায়।

    অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জয়ের ব্যবধান কমবে কিনা সেটাই দেখার। তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দলের সুবিধা নিতে চাইছে বিজেপি। তাই তারা নানারকম পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দলের ফায়দা তুলতে আন্ডার কারেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। এই বসে যাওয়া বা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা নেতাদের দলে নিতে চাইছে বিজেপি। তাহলে গোটা জেলার সমীকরণ হাতে চলে আসবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে চাপে রাখা যাবে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা নেই। তৃণমূল কংগ্রেসকে উচিত শিক্ষা দিতে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)