• পুরনো আয়কর কাঠামোয় লোকসান হচ্ছে না তো? নয়া স্ল্যাবে কত টাকা দিতে হবে! রইল হিসাব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ছাড় আছে ভেবে পুরনো আয়কর কাঠামোয় থাকেন? তাতে কিন্তু আখেরে লোকসানও হতে পারে। বরং নয়া আয়কর কাঠামোর ক্ষেত্রেই আয়করের টাকা বাঁচবে। সেই বিষয়টি একেবারে হাতেকলমে বোঝানো হল এই প্রতিবেদনে। এই মুহূর্তে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও। কারণ আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে করদাতাদের জানাতে হবে যে তাঁরা নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান নাকি পুরনো আয়কর কাঠামো বেছে নিতে চান। যদি কেউ সেটা বেছে না নেন, তাহলে নয়া কর কাঠামোর আওতায় সংশ্লিষ্ট করদাতার টিডিএস কেটে নেওয়া হবে। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কতটা ডিডাকশন ক্লেম করছেন, সেটার উপর নির্ভর করছে যে আপনি কোন আয়কর কাঠামোয় থাকবেন। যাঁদের হোম লোন বা হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স (HRA) নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে নয়া আয়কর কাঠামো বেশি ভালো। কারণ নয়া আয়কর কাঠামোয় কয়েকটি ডিডাকশন আছে। আর সেই ডিডাকশনের ভিত্তিতে কোন আয়কর কাঠামোয় আপনার সুবিধা হবে এবং সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে নয়া আয়কর কাঠামো বেছে নেবেন নাকি পুরনো আয়কর কাঠামো, তা এই বিষয়গুলি দেখে নিয়ে বিবেচনা করে নিন।  

    ১) প্রতি অর্থবর্ষে নিজের পছন্দ মতো আয়কর কাঠামো বেছে নিতে পারবেন।

    ২) যে করদাতাদের আয়ের উৎস হল ব্যবসা, তাঁরা মাত্র একবারই পুরনো আয়কর কাঠামোয় ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

    ৩) বেতনভোগীদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের অঙ্কটা হল ৫০,০০০ টাকা।

    ৪) ভাড়া বাড়ির ক্ষেত্রে হোম লোনের (গৃহঋণ) সুদের উপর ছাড় মেলে।

    যে করদাতারা বেতভোগী তথা কোনও সংস্থার থেকে স্যালারি পান এবং তাঁদের বয়স ৬০-র কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই তালিকা প্রয়োজ্য হবে। অর্থাৎ তাঁরা বুঝতে পারবেন যে ডিডাকশন ও ছাড়ের অঙ্ক কত হলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় সুবিধা হবে তাঁদের।

    এই তালিকা অনুযায়ী, যে করদাতার বার্ষিক আয় আট লাখ টাকা, তাঁর ছাড়ের পরিমাণ যদি ২,১২,৫০০ টাকার বেশি হয়, তবেই পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় তাঁদের সুবিধা হবে। অর্থাৎ আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন। নাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকলে বেশি লাভ হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করদাতাদের যদি হোম লোন থাকে বা এডুকেশন লোন থাকে বা তাঁরা যদি হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স (HRA) পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলে তাঁরা পুরনো আয়কর কাঠামো বেছে নিতে পারেন।

    ১) আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকার ছাড় পাবেন। আর স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে ২৫,০০০ টাকা ছাড় পাবেন করদাতারা। যাঁরা অবশ্য নিজেদের কোম্পানির দেওয়া স্বাস্থ্যবিমা নেন, তাঁরা এই ২৫,০০০ টাকার সুবিধা পাবেন না। যাঁরা কোম্পানির স্বাস্থ্যবিমা ব্যবহার করছেন না, তাঁরা ২,২৫,০০০ টাকার ছাড় পাবেন (১,৭৫,০০০+৫০,০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন)। যাঁদের আয় ৭.৫ লাখ টাকা থেকে আট লাখ টাকার মধ্যে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা সুবিধাজনক।

    ২) অন্যান্য সুবিধা: ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) আওতায় ৫০,০০০ টাকা ছাড় মিলবে। আর চার বছরে লিভ ট্রাভেল অ্যালোওয়েন্সের (এলটিএ) সুবিধা নেওয়া যায়। আয়কর আইনের ৮০সি ধারা এবং ৮০ডি ধারার সঙ্গে এই দুটি সুযোগ ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা মিলবে।

    ৩) বড় অঙ্কের খরচ: গৃহঋণের ক্ষেত্রে দু'লাখ টাকার নিয়ম আছে। বেতন কাঠামো ও ভাড়ার উপরে হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্সের (HRA) বিষয়টি নির্ভর করে থাকে। সেটাই পুরনো আয়কর কাঠামোর জন্য ‘গেমচেঞ্জার’।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)