• রাজনৈতিক হিংসার জন্য দায়ী অনুপ্রবেশ ও জনবিন্যাসের পরিবর্তন: শংকর ঘোষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন প্রত্যাশিতভাবেই রাজনৈতিক হিংসাকে কেন্দ্র করে শিরোনামে ছিল উত্তরবঙ্গের ৩ কেন্দ্র। উত্তরের ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালীনই রাজ্যের ভোট হিংসার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শংকর জানিয়েছেন, রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার অন্যতম কারণ অনুপ্রবেশ।

    শংকর বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ তথা পশ্চিমবঙ্গে যে সব জায়গায় রাজনৈতিক গণ্ডগোল হচ্ছে, সেখানে অনুপ্রবেশ একটা বড় সমস্যা। জনবিন্যাসের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে সেই সব জায়গায়। হিংসা রুখতে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলিকে দায়িত্বশীল হতে হবে। রাজনৈতিক হত্যার সংস্কৃতিকে বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা হিসাবে আমি বলছি, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আমাদের অগ্রাধিকার হবে বিরোধীদের সুরক্ষা। সুরক্ষিত থেকে যাতে বিরোধীরা মত প্রকাশ করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করা’।

    হিংসা রুখতে কমিশন অসহায় বলে দাবি করে শংকর বলেন, ‘এবার হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের তরফে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। কমিশনের একার পক্ষে এলাকা চিনে হিংসা প্রতিরোধ সম্ভব নয়’।

    কিন্তু প্রথম দফায় রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এই তথ্য জেনে শংকর বলেন, ‘এই লক্ষণ ভালো। অনেক সময় দেওয়ালে মানুষের পিঠ ঠেকে যায়। তখন প্রতিবাদ হবেই। সেই প্রতিবাদই ধ্বনীত হয়েছে কোচবিহারে। এই রাজ্যের মানুষ আর কত দিন শাহজাহান, জাহাঙ্গিরের কাছে মার খাবে’?

    শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণে রাজ্যে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক হিংসা। শুক্রবার দিনভর হিংসাকে কেন্দ্র করে শিরোনামে ছিল কোচবিহার। তবে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ ছিল আপাত শান্তিপূর্ণ।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)