• সংঘী বলে কটাক্ষ করে লোকজন, JNUকে ব়্যাঙ্কিং-এর শীর্ষে তো আমি নিয়ে গেলাম-উপাচার্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • এককালে তিনি ছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বর্তমানে তিনি উপাচার্য। দিল্লিতে প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার এডিটরদের সঙ্গে এক আলোচনার মধ্যে জেএনইউএর উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে খুললেন মুখ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একটা সময় দেশ বিরোধিতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত বলছেন, জেএনইউ কোনও দিনওই দেশ বিরোধী ছিল না, বা ‘টুকড়ে টুকড়ে’ গ্যাং এর অংশ ছিল না। উপাচার্য সাফ জানাচ্ছেন, তিনি নিজে ‘সংঘের সদস্য’ হিসাবেও বেশ গর্বিত। 

    শান্তিশ্রী পণ্ডিত, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপাচার্য। তিনি সাফ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গেরুয়াকরণও’ হয়নি আর বিশ্ববিদ্যালয় দেশবিরধীও নয়। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সরকারের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজের কার্যকারিতায় কোনও চাপও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। এককালে জেএনইউএর ছাত্রী শান্তিশ্রী বর্তমানে সেখানের উপাচার্য। তিনি বলছেন, তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন ক্যাম্পাসে মেরুকরণ ছিল। তিনি বলছেন, সেটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’। তবে উপাচার্যের দাবি, সেক্ষেত্রে দোষ পড়ুয়া ও প্রশাসন দুই তরফেরই ছিল। শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিতকে অনেকেই সংঘের সদস্য বলে কটাক্ষ করেন, তা নিয়ে জবাবি সুরে তিনি বলছেন, তিনি গর্বিত ‘সংঘি উপাচার্য হিসাবে, যিনি জেএনইউকে কিউএস ব়্যাঙ্কিং এর শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৈরিকীকরণ নিয়ে পণ্ডিত বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের উচিত এসবের (গৈরিকীকরণ) উর্ধ্বে ওঠা। JNU জাতির জন্য, কোনো বিশেষ পরিচয়ের জন্য নয়।’ দেশ বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে উপাচার্য বলছেন, ‘এমন একটা সময় এসেছিল যখন উভয় পক্ষের ভুল ছিল। আমি মনে করি নেতৃত্ব এটি নিয়ন্ত্রণের পথে ভুল করেছে।’ তিনি বলছেন, ‘আমি মনে করি না আমরা দেশবিরোধী বা টুকডে-টুকডে গ্যাংয়ের অংশ।’ কেমন ছিল সেই সময়? শান্তিশ্রী পণ্ডিত বলছেন, ‘আমি মনে করি সেই পর্যায়টি খারাপ ছিল এবং উভয় পক্ষের ভুল ছিল। আর মরুকরণের জন্য এবং নেতৃত্ব বুঝতে চাইছিলনা বলে… আমাদের বুঝতে হবে মানুষ ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন বা তর্ক করতে পারেন।’

    ( Times List:কেউ অধ্যাপক, কেউ রেস্তোরাঁর মালকিন! নাডেলাদের সঙ্গে বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় প্রিয়ম্বদা, আসমারাও)

    সাফ বার্তায় উপাচার্য বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কোনও দিনওই দেশ বিরোধী ছিল না। আমি যখন জেএনইউতে পড়েছি, তখন তা ছিল বাম দাপটের তুঙ্গে। এমনকি তখনও কেউ দেশ বিরোধী ছিল না। তাঁরা সমালোচক ছিলেন। তবে সমালোচনা আর ভিন্নমত পোষণ মানেই দেশ বিরোধিতা তা নয়। আমি মনে করি প্রশাসন জেঅনইউকে বুঝতে পারেনি এবং এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক পর্যায় ছিল।’

     

     

     

     

     

     

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)