গুলিতে প্রাণ যায় ৪ জনের, শীতলকুচির সেই বুথে আজকের ভোটচিত্র কেমন?
এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
দিনটা ছিল ১০ এপ্রিল, ২০২১। এরকমই তপ্ত গরমে সম্পন্ন হচ্ছিল নির্বাচন। জেলা কোচবিহার। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয় উত্তেজনা। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলার কারণে সেদিন প্রাণ যায় ৪ জন গ্রামবাসীর। বুথে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের উপরেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। সেই বুথে এবার ভোটচিত্র ছিল কেমন? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।আজ, শুক্রবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রে নির্বাচন সংগঠিত হয়। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির পাশাপাশি কোচবিহারে নির্বাচন সংগঠিত হয়। সেই ১২৬ নম্বর বুথেও এবার লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এবার এই কেন্দ্রে CISF জওয়ান মোতায়েন করা হয়নি। গতবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার CISF জওয়ান মোতায়েন করা হয়নি। হাফ সেকশন সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, থাকবে SSB, ITBP, BSF, CRPF।
এদিন এই বুথে আলাদা করে কোনও অশান্তির ঘটান ঘটেনি। শীতলকুচির একাধিক জায়গায় ছোট-বড়ো ঘটনা ঘটলেও নির্দিষ্ট এই ১২৬ নং বুথে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়দের দাবি, সকাল থেকেই লাইন দিয়ে এই কেন্দ্রের ভোটদান করেন ভোটাররা। রাজনৈতিক দলগুলোর তরফেও এই কেন্দ্রে কোনও গোলমালের সূত্রপাত হয়নি। মোটের উপর নির্বিঘ্নেই ভোট মেটে এই বুথে। নির্বাচনী কর্মীদের তরফেও এই বুথ থেকে কোনও অভিযোগ জানান হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। সেখানে ১০ এপ্রিল এই বুথে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোটের দিন জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে গণ্ডগোল শুরু হয় দুই দলের মধ্যে। অভিযোগ, সেই গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে গুলি চালায় CISF। সেই কারণে মৃত্যু হয় ৪ জন গ্রামবাসীর। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এমনকি, এবারের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলের প্রচারে উঠে আসে সেই দিনের ঘটনার কথা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। এবারের লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। তখনই জল্পনা তৈরি হয় তাঁর রাজনৈতিক দলে যোগদানের ব্যাপারে। এরপর বিজেপিতে নাম লেখান প্রাক্তন আইপিএস। গুলি চালনার ঘটনা যদিও এখনও তদন্ত চলছে। এই ঘটনার পর প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তবে এবার ওই বুথে শান্তিতে ভোট হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।