• হাওয়া বদল উত্তরবঙ্গে? ভোট মিটতেই ৩ কেন্দ্রে আগাম বিজয় মিছিল তৃণমূলের
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • তিন কেন্দ্রেই গতবার জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। উত্তরবঙ্গকে কার্যত গড় বলা হয় গেরুয়া শিবিরের। সেই উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে আজ নির্বাচন সংগঠিত হয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোটের উপর শান্তিতেই ভোট হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনই। ভোট মেটার পর দেখা গেল, তিন কেন্দ্রেই পালা করে ‘আনন্দ মিছিল’ বা আক্ষরিক অর্থে আগাম বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।লোকসভার দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মাঠ বুঝে নিতে তৈরি ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সুপ্রিমো থেকে শুরু করে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এই তিনটি কেন্দ্রে পালা করে প্রচার সেরেছেন। বিজেপির হাত থেকে এই আসনগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য দাঁত কামড়ে প্রচার সেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    সন্ধ্যায় ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই দেখা যায়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি সব কয়টি কেন্দ্রেই কর্মীদের নিয়ে বিজয় মিছিলে বেরিয়ে পরে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা দিনের ভোটপর্ব নিয়ে এদিন কিছুটা আত্মবিশ্বাসী দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির বিচরণ শুধুই মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাঠে-ময়দানে নেমে মানুষের জন্য কাজ করার লোক বিজেপিতে নেই। তাই মানুষও বিজেপির সঙ্গে নেই।’ তাঁর কথায়, ‘পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী নিজের বুথের জন্য একজন পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত জোগাড় করতে পারেননি! এই একটি ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, বাংলায় বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।’

    Lok Sabha Election 2024 : প্রথম দফায় নজরে উত্তরবঙ্গের ৩ লোকসভা আসনে

    জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, ‘মহিলারা দারুণভাবে এগিয়ে এসেছেন। বাংলায় মহিলারা যে ভূমিকা নিতে চলেছেন এই নির্বাচনে, সেটা দেখে আমরা অভিভূত। এটা উন্নয়নের ভোট হয়ে গেল, সেটা প্রমাণিত। শুরুটা যখন ভালো হল, তখন শেষটা আরও ভালো হবে।'

    নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এদিন কোচবিহার মোট ভোটার দের সংখ্যা ১৯৬৬৮৯৩ । আলিপুরদুয়ার ১৭৭৩২৫২জন, জলপাইগুড়ি ভোটের সংখ্যা ১৮ ৮৫৯৬৩ জন ভোটার। পোলিং কর্মী ছিল ২৭৯০৭ এবং ৫৮১ জন মাইক্রো অবজারভার ছিল। ৩৭ প্রার্থী তিনটি লোক সভা কেন্দ্র ছিল। তিন জন জেনারেল অবজারভার এবং পুলিশ ও আয় ব্যয় পর্যবেক্ষক ছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল মোট ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। ১০১৫০ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়ন ছিল।
  • Link to this news (এই সময়)