ঘটনাটি ঠিক কী? আজ, শুক্রবার প্রথম দফায় ভোট হল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৫ ওয়ার্ড এই জলপাইগুড়ির কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর বিধানসভা কেন্দ্র হল শিলিগুড়ি-ডাবগ্রাম।জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি নাম শ্যামল সরকার। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর বৌবাজার এলাকার ১৯/১২১ নম্বর বুথের সভাপতি তিনি। অভিযোগ, ভোট পর্ব মিটিয়ে তখন বাড়িতে ফিরছিলেন শ্য়ামল। বুথের সামনেই তাঁর উপর একেবারে সদলবদলে চড়াও হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা। দু'পক্ষের মধ্যে চলে ব্য়াপক হাতাহাতি। গুরুতর আহত হন বিজেপি বুথ সভাপতি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি।এই বুথের সামনে এই ঘটনা, সেই বুথটি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশে। সকালে এই বুথেই ভোট দিয়েছেন তিনি। খবর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধায়ক। তাঁর সঙ্গেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ব্য়াপক বাক-বিতণ্ডা হয় বলে খবর। শেষপর্যন্ত পুলিসের হস্তেক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জইন বলেন, 'এই ধরনের ভোট আগে শিলিগুড়িতে হত না৷ এই তৃণমূলের কাউন্সিলরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে৷ আমাদের ১৯/২২২ নং বুথের সভাপতি শ্যামল সরকার ভোট পর্ব মিটিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তার উপর এলাকার তৃণমূলের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আক্রমন চালায়৷ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আন্দোলনে নামব'।অন্যদিকে পাল্টা বিজেপিকেই দায়ী করছেন এলাকার কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা৷ তাঁর দাবি, 'এগুলো একেবারেই মিথ্যে ঘটনা৷ সকাল থেকেই ওরা অশান্তির বাতাবরন তৈরি করর চেষ্টা করছে। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির তেমন কোন লড়াইয়ের শক্তি নেই। সকাল থেকেই ওরা প্ররোচনা দিলেও আমাদের কর্মীরা খুব সংযত ছিল। ভোট শেষে ওরা আচমকাই মারমুখী হয়ে যায়। আমি পৌঁছে আমাদের লোকজনদের সরিয়ে দিই। শিখা চ্যাটার্জি এসে পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন। আমাদের কর্মীদের প্রত্যেককে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে'৷এর আগে, সকালে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। স্রেফ ঘিরে ধরে বিক্ষোভ নয়, বিধায়ককে আটক করারও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।