• World War III: 'ভয়ংকর হামলা হবে...', ইজরায়েলকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • শুক্রবার ইরানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইজরায়েল। বলা হচ্ছে, ইরানের পারমানবিকক কেন্দ্রেও ক্ষেপণাস্ত্র পড়েচে। ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার খবর পাওয়া গেছে।এদিকে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসর্প তাদের সমস্ত সামরিক ঘাঁটিগুলিকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে। বায়ুপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই শহরে অনেক নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট আছে। ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সর্মসূচিও এই জায়গা থেকেই চলছে। লাগাতার বিস্ফোরণের জেরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে।

    এই হামলার পর ইরান অনেক প্রদেশে তাদের বিমন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। ইজরায়েলের এই সম্ভাব্য হামলার আগেও বৃহস্পতিবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী হুসেইন আমির সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, ইজরায়েল পাল্টা আক্রমণ করলে ইরান অবিলম্বে উপযুক্ত জবাব দেবে। আমিরাবদুল্লাহিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে ইজরায়েল যদি প্রতিশোধ নেয় এবং ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে তবে তেহরানের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে হবে।

    অন্যদিকে, ইজরায়েল আমেরিকাকে বলেছে যে তারা ইরানের পরমানবিক স্থাপনাগুলিকে টার্গেট করছে না। কারণ ইরানের পারমানু স্থাপনাগুলোতে হামলার আশঙ্কা ছিল। ইরানে ইজরায়েলের হামলার পর থেকে নেতানিয়াহু অবশ্যই প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবেন বলে জল্পনা ছিল। বলা হচ্ছে ইরানের অনেক পারমানবিক স্থাপনা তাদের লক্ষ্যের বাইরে।

    হামলটি দেশের গভীরে অবস্থিত ইসফাহান শহরের কাছে একটি ইরানী বিমন বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করা হয়েছে কিন্তু কোনো কৌশলগত স্থানে আঘাত না করে বা বড় ধরণের ক্ষতি না করে।

    ইজরায়েল ঘটনার বিষয়ে কিছু জানায়নি। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও আক্রমণাত্মক অভিযানে জড়িত ছিল না, অন্যদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে যে তাদের কোনও বক্তব্য নেই।

    ইজরায়েল বলেছিল যে ১৩ এপ্রিল একটি স্ট্রাইকের পর প্রতিশোধ নেবে। এটি ইরানের দ্বারা ইজরায়েলের উপর প্রথম সরাসরি আক্রমম, যার ফলে ইজরায়েল এবং তার মিত্ররা শত শত ড্রোন নিক্ষেপ করার পরেও কোনও মৃত্যু হয়নি।

    তেহরান ১ এপ্রিল অনুমিত ইজারায়েলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই আক্রমণগুলি শুরু করেছিল যা দমাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের কম্পাউন্ডে একটি ভবন ধ্বংস করেছিল এবং একজন শীর্ষ জেনারেল সহ বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তাকে মেরেছিল।

    পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হতে পারে কিনা সে বিষয়ে শুক্রবার ইজরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও শব্দ পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (এই সময়)