দিনের বেলা মদ্য় পান অপরাধ নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
দিনের বেলা মদ্যপান অপরাধ নয়, একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় মামলায় এই পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত। বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশের বেঞ্চ ২০১৬ সালে ১৬ এপ্রিল একটি সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত মামলায় অভিযুক্ত ব্য়ক্তির ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ করেছে।অভিযুক্তের শরীরে অ্যালকোহলের গন্ধ পাওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কমেছে। কারণ একজন ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটালে ওই ব্যক্তি অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় সেই কাজ করছে বলে ধরে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অপরাধ অনেকটা লঘু হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত অপরাধ নয়।
মোটর দুর্ঘটনায় পেরাম্বুলের ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত রমেশের কাছ থেকে ৩ লাখ ৭ হাজার জরিমানা ধার্য করে। এর মধ্য়ে ৫০ শতাংশ দায়ীর করা হয়েছিল গাফিলতির জন্য। পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল জানায় মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন রমেশ। সামনে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। মদ্যপ কারণে ট্রাকের দূরত্ব বুঝতে পারেননি মোটরবাইক চালক। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে রক্তে অ্যালকোবল পাওয়া যায়নি। পরে রমেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টে ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন। আবেদনে রমেশ জানান, রাজ্যে যেখানে মদ বিক্রি হচ্ছে সেখানে কী ভাবে একজন ব্য়ক্তির শরীরে অ্যালকোহল না পাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে দোষী হিসেবে সাব্য়স্ত করা হল।
এই মামলায় পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানায় মদ খাওয়া অপরাধ নয়। প্রকৃতপক্ষে মদ বিক্রি রাজ্য় সরকার পরিচালিত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিদেশি মদ বিক্রি করে নাগরিকদের জন্য। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য যখন মদ বিক্রি হয় তখন উদ্ভূত অবস্থাগুলির জন্য দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই। আদালত রমেশের ক্ষতিপূরণ ধার্য করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটালে ব্যক্তির শরীরে অ্যালকোহল নির্ধারণ করার একটি সার্কুলার জারি করার নির্দেশ দিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে ভোট পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করার লক্ষ্যে মদবিরোধী অভিযানে নেমেছে আবগারি দফতর। প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে দেশি ও অবৈধ মজুত বিলেতি মদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে আগামী ২৬শে এপ্রিল লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে আবগারি দপ্তর এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বহি রাজ্য থেকে এবং রাজ্যের মধ্যে কতিপয় ব্যবসায়ী মদ বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা রোজগারে ব্যস্ত তাদের বিরুদ্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আফগারি দফতর এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।