• নির্বাচনী বিধিভঙ্গে অভিযুক্ত শিখা, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা
    বর্তমান | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: নির্বাচনী বিধিভঙ্গে অভিযুক্ত ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি তাঁর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও দলীয় কর্মীদের নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান। অভিযোগ, কোথাও জটলা পাকিয়ে ভোটারদের মগজ ধোলাই করেন। আবার কোথাও বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। তাঁকে বাধা দিলে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তিও হয়। উত্তেজনা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও বিজেপি বিধায়কের মধ্যে বাকযুদ্ধও হয়েছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। সবমিলিয়ে ভোটের ময়দান এদিন ছিল সরগরম। 

    জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্র অন্যতম। গত বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রটি দখল করে বিজেপি। এদিন সকাল থেকেই এই কেন্দ্রের ময়দানে নামেন বিজেপি বিধায়ক। সকাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। অবশেষে দুপুর নাগাদ শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীমা সরণী থেকে তাঁকে বাধা দেয় পুলিস। 

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বিধায়ককে আটকে দেওয়ায় তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে পুলিসের বচসা বাধে। এক-দু’কথায় বিধায়কের কয়েকজন অনুগামী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়। সেখান থেকে বিধায়ককে বের করে নিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের পিছনে ধাওয়া করে পুলিস কর্মীরা। 

    চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, আমি এখানকার বিধায়ক। আমি দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নিতে যে কোনও জায়গায় যেতে পারি। কিন্তু যখন পোড়াঝারে ছিলাম, তখন পুলিস আমাকে ফোন করে নিজের বুথে যেতে বলে। সেখান থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে আসার পর পুলিস আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। তাঁর অভিযোগ, পুলিসকে দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করিয়ে ভোট লুটের ছক কষেছিলেন মেয়র গৌতম দেব। মেয়রের সেই কৌশল ভেস্তে দিয়েছি। কমিশনের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাব। 

    মেয়র অবশ্য বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পাল্টা তিনি বিধায়ককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কমিশনের আইন অনুসারে ভোটার না হলে ভোটের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যায় না। তাই আমি মেয়র হওয়া সত্ত্বেও শহরের সংযোজিত এলাকায় প্রবেশ করিনি। নিজেকে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি রেখেছি। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক অন্যায়ভাবে বিভিন্ন বুথের ভিতরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করেছেন। আবার বুথে যাওয়ার রাস্তায় জটলা পাকিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনে হার বুঝতে পেয়েই তিনি এমন কৌশল নিলেও ব্যর্থ হয়েছেন। বিষয়টি কমিশনকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। 

    প্রশাসনের আধিকারিকররা জানান, কেন, কী উদ্দেশ্যে বিধায়কের বিরুদ্ধে জটলা পাকানোর অভিযোগ উঠেছে, তা জানতে চেয়েছে কমিশন। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।

     নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)