নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: গড় রক্ষা করতে ‘নিঃসঙ্গ’ হয়ে দিনভর ছুটলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়। বিজেপি তাদের পক্ষে ভোটের হওয়া বলে প্রচার করে, অথচ সেই অর্থে ভোট ময়দানে দলের কর্মীদের সেভাবে দেখা গেল না জয়ন্তবাবুর সঙ্গে। দু’তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে ছুটলেন বিজেপি প্রার্থী। যেন দায় শুধু তাঁর একার কাঁধেই। শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে চা বাগান যাওয়া, জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ থেকে কমিশনকে নালিশ, সব করলেন একাই।
তৃণমূলের বক্তব্য পাঁচ বছর তাঁকে দেখা যায়নি। তাই তো পরিকল্পনাহীনভাবে একাই উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে হয়েছে। কারও সঙ্গ পেলেন না, নাকি কারও উপর ভরসা করতে পারলেন না সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। জয়ন্তবাবুর বক্তব্য, আমি আমার মতো ভোট পর্ব ঘুরে দেখলাম। সবাই সবার মতো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কমিশনকে কিছু অভিযোগ জানিয়েছি।
এদিকে ভোট প্রচারে বেরিয়ে যেভাবে গত পাঁচ বছরে এলাকায় দেখা না পাওয়ার বিষয়ে মানুষের কথা শুনতে হয়েছিল। এদিনও বিজেপি প্রার্থীকে একই অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। জলপাইগুড়ি লাইব্রেরি বুথ পরিদর্শন করে বেরোনোর পথেই এই ঘটনা ঘটে। শহরের বাসিন্দা দীপক প্রধান এগিয়ে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে হাত মেলান। হাসিমুখেই তিনি বলেন, আপনি আমাদের সাংসদ ছিলেন? গত পাঁচ বছরে তো আপনাকে দেখিনি। আচমকা ওই ঘটনায় হকচকিয়ে যান জয়ন্তবাবু। তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে চলে যান। এদিকে জয়ন্তবাবু শহরে গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের একটি বুথে এসে অভিযোগ করেন, ভোটারদের প্রভাবিত করছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জয়ন্ত বলেন, বিষয়টি আমি পুলিস অবজারভারকে জানিয়েছি। অন্যদিকে, সৈকতবাবুর দাবি, আমি জেলা স্কুলের বুথের ভোটার। তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের কাউকে ভয় দেখানোর প্রয়োজন হয় না। যাঁরা দুর্বল, তাঁরাই অবান্তর সব অভিযোগ তোলেন।