• নিজের ভোটটা ঘাসফুলে কেমন করে দেবেন?‌ জনগণকে টিপস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছে। সেটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে শাসক–বিরোধীর মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, প্রথম দফার ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, এটা ‘‌ত্রুটিযুক্ত’ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এই আবহে‌ কেউ ভোট দিতে বাধা দিলে কী করণীয় সেটা বাতলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেমন করে ‘বোকা’ বানাবেন?‌ সেই টিপসও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলে দিয়েছেন মানুষকে কী করতে হবে।

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন এখানে বিজেপি জিততে পারবে না। তাই মানুষকে বাধা দিয়ে ভোট করিয়ে জেতার ছক কষতে পারে। এমনকী বেশ কয়েকটি জায়গায় তা করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর আছে। তারপরও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার—এই তিনটি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফল করবে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। আর বোকা বানানোর টিস দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের দিন কেউ ভোট আটকালে এবং যদি কেউ বলে ভোট দিতে যাবেন না, তখন বলবেন, না না আপনাদেরই তো দিমু। এই বলে গিয়ে নিজের ভোটটা ঘাসফুলে দিয়ে দেবেন।’

    আরও পড়ুন:‌ গোষ্ঠীকোন্দল কাঁটায় বিঁধতে পারে তৃণমূলের সাফল্য, নির্মল মাজির বিরুদ্ধে বড় অংশ

    অতীতের দিকে যদি তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে একুশের নির্বাচনের সময় নানা সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলতেন, ওরা টাকা দিতে আসবে। নিয়ে নেবেন। তারপর ঘটিটা উলটে দেবেন। ফলাফল কিন্তু সেই কথাই বলেছিল। এবারও এমন একটা টিপস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন। তাতে কতটা কাজ হয়েছে সেটা বোঝা যাবে ৪ জুন। শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দুয়ারে প্রায় ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। সবথেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে কোচবিহার থেকে। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম সব পক্ষের থেকেই নালিশ গিয়েছে কমিশনের কাছে। কিন্তু তারপর দেখা গেল, ইভিএম স্ট্রংরুমে যাওয়ার আগেই বিজয় মিছিল বের করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।

    এই বিজয় মিছিল থেকেই স্পষ্ট শতকরা ভোটের পরিসংখ্যান দেখেই তাঁরা নিশ্চিত এবার আর বিজেপি উত্তরবঙ্গে খাপ খুলতে পারবে না। কারণ কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ভোট পাবে বিজেপি, এটা হতে পারে না। মানুষের শরীরী ভাষা যা বোঝানোর তাই বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মুর্শিদাবাদের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি বলেছেন, টাকা দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়েছে। ওগুলিতে বিশ্বাস করবেন না। বিজেপি ২০০ পার করতে পারবে না। মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র—মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর। তৃতীয় দফায় ভোট আছে মুর্শিদাবাদে। এখানে সরাসরি লড়াই হবে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। কারণ এখানে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রার্থী হয়েছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান। এখানে বিজেপি ফ্যাক্টর নয়। চতুর্থ দফায় ভোট আছে বহরমপুরে। যেখান লড়াই হবে অধীররঞ্জন চৌধুরী বনাম ইউসুফ পাঠান। এখানেও বিজেপি ফ্যাক্টর নয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)