রাজ্যের মনোনীত ৬ উপাচার্যে অনুমোদন রাজ্যপালের, সংঘাতের মাঝে আজ রাজভবনে বৈঠক
প্রতিদিন | ২০ এপ্রিল ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের জন্য রাজ্যের পাঠানো ৩১ জনের তালিকা থেকে ৬ জনের নামে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল-আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। তাঁদের মধ্য থেকেই উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করবেন আচার্য। বাকি ২৫ জনের নাম তিনি খারিজ করেছেন বলে জানানো হয়েছে শুক্রবার রাজভবনের তরফে জারি বিবৃতিতে। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে আচার্য বোসের সঙ্গে একান্তে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে সাতজনকে।
সম্ভাব্য সেই তালিকায় রয়েছেন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত, যাদবপুরের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত, বিদ্যাসাগর ও নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। কয়েকজন আবার রাজভবনের এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজভবনে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমণি ও রাজ্যপালের প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। এদিন রাজভবনের তরফে জারি বিবৃতি শুরুতেই বলা হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে পিছিয়ে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী। লেখা হয়েছে, আশ্চর্যজনকভাবে শিক্ষাদপ্তর নিজের মতো উপাচার্য নিয়োগ করা এবং তা টুইট করে বর্তমান উপাচার্য ও জনসাধারণকে জানানোর আগ্রাসী পথ থেকে ফিরে গিয়েছে। যে বক্তব্য ধাঁধার সৃষ্টি করছে মত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে মন্তব্য করেছেন, ‘যদি রাজ্যের সুপারিশ করা নামগুলির মধ্যে কয়েকটি নাম আচার্য ইতিমধ্যেই বাতিল করে থাকেন, তাহলে তাঁর উচিত রাজ্য সরকারের কাছে আরও কিছু নাম চেয়ে পাঠানো। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থান, যা সুপ্রিম কোর্ট বহাল রেখেছে, সেই অবস্থান আমি সমর্থন করছি। এবং আমি কোথায় ফিরে গিয়েছি তা বুঝতে পারছি না।’ হ্যাশট্যাগ ‘গুগলি’ ব্যবহার করে ধন্দের বিষয়টি বুঝিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ বিষয়েই ব্রাত্য মনে করিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সামনে অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থানের কথা। তাঁর বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের কাছে আচার্যর হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রাজ্য সরকারের নামের তালিকা থেকে উপাচার্যহীন ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করবেন আচার্য। রাজভবনের তরফেই এই প্রচার করা হয়েছিল। যা থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট।
প্রথমত, আপাতত উপাচার্য নিয়োগকারী কর্তা আচার্যই। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারের সুপারিশ করা নামের তালিকা থেকেই নামগুলি নির্বাচন করা হয়েছে।” এদিন রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী যে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন, তার ভিত্তিতে আচার্যকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি।