• চুলোয় যাক প্রচার! অন্তঃসত্ত্বাকে বাঁচাতে দৌড় ডাক্তার প্রার্থীর, ভোটবাজারে বেনজির ঘটনা
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • প্রচারের কাজে চূড়ান্ত ব্যস্ত ছিলেন। আর প্রচার মানেই ফুরসত ফেলার সময় থাকে না প্রার্থীদের। সামান্য কয়েক মিনিটের জন্য কথা বলতেও গেলেও রীতিমতো আগে থেকে 'অ্যাপয়েন্ট' দরকার। তবে সেসব কিছু ফেলেকে একেবারে অন্য পথে হাঁটলেন অন্ধ্র প্রদেশের প্রার্থী। ভুললেন না কর্তব্য। ভোট প্রচারের থেকেও তাঁর কাছে অনেক বেশি দায়িত্বের মনে হয়েছে মানুষের বিপদের সময়ের পাশে দাঁড়ানো। তাঁর এই কাজের প্রশংসা করছেন বিরোধীরা।অন্ধ্রপ্রদেশের দরশী বিধানসভা কেন্দ্রের টিডিপি প্রার্থী গোট্টিপতি লক্ষ্মী। রাজনীতিকের পাশাপাশি তাঁর আরও এক পরিচয় রয়েছে। তিনি পেশায় চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁর কানে আসে এক মহিলার অসম্ভব প্রসব যন্ত্রণা উঠেছে। আব্বায়ি পালেমের বাসিন্দা ভেঙ্কটা রামানা ভর্তি রয়েছেন এক বেসরকারি হাসপাতালে। যন্ত্রণায় ছটপট করছিলেন তিনি। ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা 'হাত তুলে' দিয়েছেন ততক্ষণ।

    গুন্টুর হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে এমতাবস্থায় অন্য হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় বড় বিপদের আশঙ্কাও ছিল। সঠিক সময় অস্ত্রোপচার না হলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা রয়েছে। একথা শুনে আর স্থির থাকতে পারেননি লক্ষ্মী। নির্বাচনী প্রচার ফেলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান বেসরকারি হাসপাতালে। অপারেশন করে নবজাতককে দুনিয়ার আলো দেখান। মা ও বাচ্চা দু'জনেই সুস্থ রয়েছেন। এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলার সময় লক্ষ্মী বলেন, 'বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা গুন্টুরে হাসপাতালে রেফার করে দিয়েছিলেন ওই মহিলাকে। আমি ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করি।' তাঁর সংযোজন, 'টিডিপি ক্ষমতায় এলে এখানে হাসপাতাল তৈরি করব।'

    ১৩ মে অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫টি বিধানসভা আসনে ও ২৫টি লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে। ২০১৯ সালে জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ১৫১টি বিধানসভা আসন এবং 22টি লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল। চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি যথাক্রমে ২৩টি এবং তিনটি আসন জিতেছিল। উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় দেশের ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি ভোটগ্রহণ হয়েছে। ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটপর্ব মিটেও গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত যে তথ্য এসেছে, সেই হিসেবে শতাংশের বিচারে দেশে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়। দ্বিতীয় স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। শুক্রবার যে আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে, ২০১৯ সালে সেগুলিতে ভোটদানের হার ছিল ৬৯.৪ শতাংশ।
  • Link to this news (এই সময়)