• Supreme Court: যৌন নিগ্রহে ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মা
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণের শিকার ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকার ২৮ সপ্তাহের গর্ভধারণ বন্ধ করার আবেদনের শুনানি হয়। নাবালিকার মায়েরদায়ের করা অবেদনটি জরুরি ভি্তিক শুনানির জন্য পোস্ট করা হয়েছিল এবং আদালত মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ওই নাবালিকার মেজিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।এর আগে ২৮ সপ্তাহের গর্ভধারণ বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে বম্বে আদালতে আবেদন জানায় নাবালিকার পরিবার। তবে বম্বে হাইকোর্ট মেয়েটিকে তার গর্ভধারণ বন্ধ করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। বম্বে হাইকোর্ট বলে যে, নাবালিকার গর্ভাবস্থা একটি উন্নত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বন্ধ করার ফলে একটি সম্পূর্ণ বিকশিত ভ্রুণের জন্ম হবে। বম্বে হাইকোর্টে অনুমতির আবেদন খারিজ হওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকার মা।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্টের বিধানের অধীনে, ২৪ সপ্তাহের গর্ভকালীন সময়ের বাইরে গর্ভধারণ বন্ধকরতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন।

    বম্বে হাইকোর্ট গত ৪ এপ্রিল নাবালিকার মায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের যান ওই নাবালিকার মা।

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চকে এদিন নাবালিকার মা জানিয়েছেন যে, তাঁর মেয়েকে পরীক্ষা না করেই ডাক্তারি মতামত তৈরি করা হয়েছিল।

    এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ বলে, ‘এই আদালতের সামনে একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য উঠে এসেছে যে মেডিক্যাল রিপোর্টে নাবালিকার উপর গর্ভাবস্থার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার প্রভাব এবং অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন সহ গর্ভধারণের পটভূমির প্রভাব নেই।’

    উল্লেখযোগ্যভাবে, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সিজেআই চন্দ্রচূড়ের আগের দিনের জন্য উঠেছিল, ইমেলের মাধ্যমে জরুরি উল্লেখ করার পরে, তালিকাভুক্ত এবং বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বিষয়টির শুনানি চলে।

    সুপ্রিম কোর্ট সরকারি আইনজীবীকে নাবালিকা ও তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে বলেছে। মেডিক্যাল বোর্ড তারপর সিদ্ধান্ত নেবে যে নাবালিকা মেয়েটির জীবনের কোনও রকম ঝুঁকি ছাড়াই গর্ভনির্ধারণ বন্ধ করা যায় কিনা বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    মুম্বইয়ের হাসপাতালটিকে ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল যখন পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই মামলায় সরকারের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি।
  • Link to this news (এই সময়)