• One Nation One Election: ২০২৯-এই এক দেশে এক ভোট? মুখ খুললেন অমিত শাহ
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কবের মধ্যে এক দেশ এক নির্বাচন কার্যকর হবে তা নিয়ে বড় মন্তব্য করেন মোদীর সেনাপতি। অমিত শাহের কথায়, বিজেপি ইস্তেহার এক দেশ এক নির্বাচন প্রণয়ণের উল্লেখ করেছে। চেষ্টা করা হবে ২০২৯ সালের মধ্যে এক দেশ এক নির্বাচন কার্যকর করার।সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, 'এক দেশে এক নির্বাচনের ভাবনা নতুন নয়। এই দেশে দুই দশক ধরে এক দেশ এক নির্বাচনের বিধি মেনে আসা হয়েছে। সমস্য়া প্রথম সেবারই হয়েছিল যেবার ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দেন। এর ফলে দেশে ভোটের সূচির অমিল হয়।'

    তবে রাজ্য বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত অবশ্য় জণগনের উপর ছেড়েছেন শাহ। অমিত শাহর কথায়, 'বিজেপি সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে এবং একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল, বিচারক এবং আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করার পর খসড়া রিপোর্টে এক দেশ এক নির্বাচনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে একবার ভোটগ্রহণ শেষ হলে, পরবর্তী পাঁচ বছর দেশের উন্নয়নে সময় ব্যয় করা উচিত।' বিজেপি স্থানীয় নির্বাচনের জাতীয়করণ করতে চায় এমন দাবি উড়িয়েছেন অমিত শাহ। কংগ্রেসকে নিশানা করে শাহ বলেন, 'এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। ওরা নাগরিকদের কোনও দিন কি বুঝেছে? আমি কংগ্রেসকে বলতে চাই ওদের জন্য আর কোনও জায়গা নেই। কেন ওর উন্নতি করছে না?' শাহের সংযোজন, জনগণ জানে শীর্ষে এবং রাজ্য স্তরে কাকে ভোট দিতে হবে। দু'টি ব্যালট বাক্স থাকবে, ভিন্ন প্রার্থী থাকবে এবং ভিন্ন নির্বাচনী ইস্তেহার থাকবে। বিভ্রান্তি হবে কেন?'

    অমিত শাহের কথায়, 'এই পদক্ষেপটি একাধিকবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যয় করা অর্থ সাশ্রয় করবে, পাশাপাশি জনগণের সময়ও বাঁচবে। প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৯ সালকে 'লক্ষ্য' রেখে ভারত জুড়ে 'এক দেশ এক ভোট' পদ্ধতি কার্যকর করার 'কাজ' শুরুর সুপারিশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটি। কিন্তু কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ মেনে ২০২৯-এ 'এক দেশ এক ভোট' (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) কার্যকর হলে তিন বছরের মাথাতেই ভেঙে দিতে হবে সেই প্রতিটি নির্বাচিত বিধানসভাকে। যা বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থার 'পরিপন্থী' বলেই আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।
  • Link to this news (এই সময়)