আজকাল ওয়েবডেস্ক: জোড়া হারের পর ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল লখনউ সুপার জায়ান্টস। শুক্রবার চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ উইকেটে হারাল কেএল রাহুলের দল। দাপুটে জয়ে এক ওভার বাকি থাকতেই জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় লখনউ। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। জবাবে ১৯ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ। ওপেনিং জুটিতেই বাজিমাত। ১৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় রাহুলরা। জোড়া অর্ধশতরান দুই ওপেনারের। ১টি ছয়, ৫টি চারের সাহায্যে ৪৩ বলে ৫৪ রান করেন কুইন্টন ডি কক। জন্মদিনের পরের দিন অনবদ্য ইনিংস রাহুলের। ৫৩ বলে ৮২ রান করেন। ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়, ৯টি চার। চেন্নাইয়ের বোলারদের রেয়াত করেনি লখনউয়ের ওপেনাররা। ২৩ রানে অপরাজিত নিকোলাস পুরান। ওপেনারদের দাপটে ধোনির সংক্ষিপ্ত তাণ্ডবের কোনও মূল্য থাকল না। তবে এদিন খেলা লখনউতে না চেন্নাইয়ে, সেটা বোঝা দায় ছিল। একানা স্পোর্টস সিটির গ্যালারির রং ছিল হলুদ। জিততে না পারলেও লখনউয়ের মন জয় করলেন ধোনি। চেন্নাই ইনিংসের নায়ক আবার সেই "বুড়ো" ধোনি। শেষদিকে ঝড় তুলে লড়াইয়ে রাখেন দলকে। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে পৌঁছয় চেন্নাই সুপার কিংস। একমাত্র রবীন্দ্র জাদেজা ছাড়া কেউ রান পায়নি। অর্ধশতরান করেন চেন্নাইয়ের অলরাউন্ডার। ১টি ছয় এবং ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। যথাক্রমে ৩৬ এবং ৩০ করেন অজিঙ্ক রাহানে এবং মঈন আলি। কিন্তু শেষবেলায় নেমে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আরও একবার নিজের কাঁধে তুলে নেন ধোনি। দু"ওভার বাকি থাকতে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। মারকুটে ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৩টি চার। টসে জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠান কেএল রাহুল। শুরুতেই ধাক্কা খায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মহসিনের ওভারের প্রথম বলেই শূন্যতে বোল্ড রচিন রবীন্দ্র। রান পাননি ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ও। মাত্র ১৭ রানে ফেরেন। অজিঙ্ক রাহানে শুরুটা ভাল করলেও ৩৬ রানে আউট হন। ব্যর্থ এবারে আইপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটার শিবম দুবে। ৩ রানে ফেরেন। ৯০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় চেন্নাই। আবার দলের বিপদের সময় হাল ধরেন জাদেজা। তাঁর অর্ধশতরানে ম্যাচে টিকে থাকে চেন্নাই। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রান যোগ করেন মঈন আলি। তবে পার্থক্য গড়ে দেয় ধোনির সংক্ষিপ্ত ঝোড়ো ইনিংস। কিন্তু শেষপর্যন্ত লাভ হল না।