শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ ঘোষ!
২৪ ঘন্টা | ২০ এপ্রিল ২০২৪
অরূপ লাহা: হাসপাতালে গেলেন দিলীপ ঘোষ। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে দেখতে শনিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। গত ১০ এপ্রিল
শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে পূর্ব বর্ধমানে গলসিতে স্বপন মল্লিক নামে একজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মারাত্মক জখম হন। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ইদের উপহার দিতে স্ত্রী রূপা মল্লিক ও এক নাতনিকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি শিড়রাই গ্রামে গিয়েছিলেন স্বপন। শিড়ারাই আর পোতনার মাঝে তাঁর উপরে হামলা হয়। সন্ধ্যায় বাইকে গ্রামে ফেরার সময়ে তাঁকে লাঠি, টাঙি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্বপন মল্লিকের বাড়ি মনোহরপুর সুজাপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল গ্রামেরই নেতা ইমদাদুল হক মল্লিক ওরফে তারার। মাস কয়েক আগে গ্রামে ঢোকার মুখে কয়েকজন দুষ্কৃতী ইমদাদুল হক মল্লিক ওরফে তারাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। সেই ঘটনায় স্বপনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এদিনের ঘটনা তারই পালটা বলে দাবি দলের একাংশের।
বিজেপি দাবি, বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন দুর্নীতি করেছে ১০০ দিনের কাজের। তার প্রতিবাদ করায় আর এক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। এদিন তাঁকে দেখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "চুরি বা অন্যায়ের প্রতি করলেই তৃণমূল নেতারা আক্রমণ করছে! তৃণমূল কর্মীরাও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করেছে। স্বপন তার প্রতিবাদ করেছিল। তাই সে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা স্বপনের পরিবারের পাশে আছি। এরা খুবই গরিব। যতটা পারলাম সাহায্য করেছি। আগামীদিনেও আমরা সাহায্য করব।"এই ঘটনায় স্ত্রী রূপা মল্লিক জানান, তাঁর সামনেই তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাঁর নাতনি ও তাঁর গলায় ছুরি ধরে আক্রমণকারীরা। স্বামীর উপর হামলার ঘটনায় তিনি দোষীদের সাজা দাবি করেছেন।