East West Metro : উন্নততর পরিষেবা, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরেলে আসছে আরও ১১ রেক
এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল)-এর তৈরি ১৪টি রেক দিয়ে পরিষেবা চালাচ্ছে কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বা কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইন। যাত্রী পরিবহণকে আরও মসৃণ করতে ডিপোয় আসছে আরও ১১টি রেক। এর মধ্যে তিন মাসের মধ্যে তিনটি রেক কলকাতায় পৌঁছবে বেঙ্গালুরু থেকে। রেক নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিইএমএল এমনটাই জানাচ্ছে।হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে যাত্রী পরিবহণের জন্য এখন কাজে লাগানো হচ্ছে তিনটি রেককে। এর মধ্যে একটি রাখা আছে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে। ন’টি রেক পরিষেবা দিচ্ছে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত। প্রতিটি রেকই ৬ কামরার। মেট্রো-কর্তাদের আশা, এ বছরের শেষেই হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে গ্রিন লাইন পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
সে ক্ষেত্রে মাত্র ১৪টি রেকে যথাযথ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিইএমএলকে নতুন করে ১১টি রেক তৈরির বরাত দেওয়া হয়। জুন-জুলাই নাগাদ প্রথম দফার তিনটি রেক কলকাতায় পৌঁছবে বলে জানাচ্ছে বিইএমএল। সংস্থার কর্ণধার শান্তনু রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তিনটি রেক তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওদের প্রোপালশন সিস্টেম যে কোনও সময়ে জাপান থেকে এসে পড়বে। এ ছাড়া আরও আটটি রেক তৈরি করে আগামী দু’বছরের মধ্যে কলকাতায় পাঠাব আমরা।’
দেশে প্রথম মেট্রো চলেছিল কলকাতার যে রুট ধরে, সেই ব্লু-লাইনে ট্র্যাক পাতা হয় ব্রড গেজের মাপ অনুযায়ী। কিন্তু সুড়ঙ্গের যা মাপ, সেটা ব্রড গেজ ট্রেন চালানোর উপযুক্ত নয়। তাই ব্লু-লাইনে চালানোর জন্য উপযুক্ত রেক আলাদা ভাবে তৈরি করতে হয়। এমন রেক তৈরির দায়িত্ব চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির।
তবে কলকাতায় নতুন যে একাধিক লাইনের কাজ চলছে, তার জন্য প্রাথমিক ভাবে আরও অন্তত ৫৭টি রেক প্রয়োজন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিক সংস্থাই তা তৈরির বরাত পেতে আগ্রহী।