China News: শীঘ্রই জলের তলায় চিনের একাধিক শহর! ড্রাগনের দেশ নিয়ে ভয়ংকর গবেষণা রিপোর্ট
এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের উদ্ভব। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া এবং প্রকৃতি। আরতার খেসারত দিতে হচ্ছে কম বেশি বিশ্বের সব দেশকেই। প্রথম বিশ্বের দেশ হলেও চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে চিনও। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে চিনের প্রায় অর্ধেক প্রধান শহর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। চিনের সমস্ত প্রধান শহরগুলির প্রায় অর্ধেক ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়।চিনের প্রধান শহরগুলির প্রায় অর্ধেক জল উত্তোলনের কারণে এবং উন্নত নগরায়নের জন্য যেভাবে চিনে আধুনিকীকরণ শুরু হয়েছে ততে দেশটির বিপদ আরও বাড়ছে বলে নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে।
সয়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি আবিষ্কার করেছে যে বেজিং এবং তিয়ানজিন সহ চিনা শহরগুলি মাঝারি থেকে গুরুতর ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে। চিনের শহুরে ভূমির ৪৫ শতাংশ প্রতি বচর ৩ মিলিমিটারের চেয়ে দ্রুত ডুবে যাচ্ছে, গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
চিনের প্রধান বিজ্ঞানীরা ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ২ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যা সহ প্রতিটি চিনা শহরে ভূমি হ্রাস পরিমাপ করেছে। তারা পরীক্ষা করে ৮২ টি শহরের মধ্যে দলটি দেখেছে যে কিছু শহর দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ছয়টির মধ্যে একটি প্রতি বছর ১০ মিমি অতিক্রম করে। তারা আরও দেখেছে যে চিনের বৃহত্তম শহর সাংহাই গত শতাব্দীতেও ৩ মিটার পর্যন্ত ডুবে যাওয়র পরেও তলিয়ে যাচ্ছে। বেজিং তার সাবওয়ে এবং হাইওয়েগুলির কছে বার্ষিক ৪৫ মিলিমিটার ডুবে যাচ্ছে।
গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় লিখেছেন, ‘ভূগর্ভস্থ জল প্রত্যহার এবং বিল্ডিংয়ের ওজনের মতো বিভিন্ন কারণের সাথে এই হ্রাস যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। উঁচু বিল্ডিংগুলি গজিয়ে উঠছে। রাস্তা আরও চওড়া হচ্ছে এবং ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হচ্ছে, আর এই সবই হচ্ছে খুব দ্রুত গতিতে।’ ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা।
শহর হ্রাসের জাতীয় প্যাটার্ ছাড়াও আমরা বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক এবং মানবিক কারণ চিহ্নিত করেছি যা শহরের পবের সাথে যুক্ত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, প্রাকৃতিক কারণগুলির মধ্যে রয়েছ প্রতিটি শহরের ভূতাত্ত্বিক স্থাপনা এবং বেডরকের গভীরতা, যা ডুবে না গিয়ে মাটির ওজনের পরিমাণকে প্রভাবিত করে। বিজ্ঞানীরা ডুবন্ত শহর এবং ভূগর্ভস্থ জলের ক্ষতির মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছেন যা ভূত্বকের মদ্যে খালি ছিদ্র স্থান ছেড়ে দেয় যা উপরে ওজনের স্তুপের মতো সংকুচিত হয়ে যায়।