India Pakistan Trade: টমেটো-পেঁয়াজের জন্য জয়শংকরের কাছে হাত পাতে পাকিস্তান! স্বীকারোক্তি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর
এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
ভারতের সঙ্গে নতুন করে বানিজ্য শুরু করার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন শেহবাজ শরিফ সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইসহাক দার।তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বানিজ্য পুনরয় চালু করতে সব পক্ষের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে শাহবাজ সরকার আবারও ভারতের সঙ্গে বানিজ্য শুরু করতে আগ্রহী বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এরই মধ্যে সামনে এসেছে আরও একটি খবর, জানা গেছে পাকিস্তানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল তৃতীয় কোনও দেশে জয়শংকরকে থামিয়ে টমেটো এবং পেঁয়াজ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় চানক্য জয়শংকর মিফতাহ ইসমাইলকে কোনও রকম অভিব্যাক্তি দেননি। নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন মিফতাহ ইসমাইল।
পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গেছে, মিফতাহ ইসমাইল টি টিভি শোতে স্বীকার করেছেন যে তিনি ভারতের থেকে টমেটো এবং পেঁয়াজ চেয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালে পাকিস্তানে টমেটো এবং পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। এবং ভারত থেকে সরাসরি এগুলি আমদানি করাই আশার একমাত্র কিরণ বলে মনে হয়েছিল। আর তখনই পাকিস্তান সরকার ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তারা ভারত থেকে টমেটো এবং পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে। এরপর মিফতাহ ইসমাইল একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জয়শংকরের কাছে ভারতকে টমেটো এবং পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে ফের বানিজ্য শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান বলে জানা গেছে।
মিফতাহ ইসমাইল বলেন, তিনি জয়শংকরকে ব্যবসা বন্ধ করে ফের ব্যবসা শুরু করার অনুরোধ করায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি সরকারের বাকি লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ভারতের জবাব দেবেন। মিফতাহ বলেন, ‘তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী আজ পর্যন্ত কোনও জবাব দেননি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেহবাজ শরিফের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর মিফতাহ ইসমাইল ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন যাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি কমনো যায়। ২০১৯ সালে ভারত কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বনিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল।
তবে বানিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে এখন রীতিমতো আফশোস করছে পাকিস্তান। ভারতের সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তান আবারও ভারতকে ব্যবসা শুরু করার অনুরোধ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন ইসহাক দার। তিনি বলেন, এব্যাপরে ব্যবসায়ীরা ঐক্যমতে পৌঁছাবেন। এরপর তা সরকারের অন্যান্য দলের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।