• উপহারে পাওয়া চকোলেট খেয়ে বারবার রক্ত বমি! হাসপাতালে শিশু
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • ভালোবেসে এক বাক্স স্ন্যাক্সস-চকোলেট একরত্তিকে উপহার দিয়েছিলেন এক আত্মীয়। আর সেই স্ন্যাক্সস-চকোলেট বাক্স হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল শিশু। বাক্স খুলেই মুখে পুরল চকোলেট। তারপর এক নিমেষে যেন সবটা ওলটপালট। মিলিয়ে গেল মুখের হাসি। চকোলেট খেয়ে ছোট্ট সদস্যদের এমন পরিণতি হবে ভাবতে পারেননি কেউ। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে দৌড়তে হল হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছে একরত্তি।

    মেয়াদ উত্তীর্ণ চকোলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে দেড় বছরের এক শিশু কন্যা। পঞ্জাবের লুধিয়ানার ঘটনা। জানা গিয়েছে, কিছু চকোলেট খাওয়ার পরই ঘনঘন রক্ত বমি করছিল ওই শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।শিশু কন্যার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্প্রতি পাটিয়ালায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল ওই শিশু। সেখানেই এক বাক্স স্ন্যাকস-চকোলেটের বাক্স উপহার পায় সে। আর সেই চকোলেট-স্ন্যাকসের বাক্স থেকেই কয়েকটি চকোলেট মুখে পুরতেই বিপত্তি। মেডিক্যাল টেস্ট থেকে জানা গিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ চকোলেট খাওয়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু। বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশকেও।

    ঘটনার খবর পেয়ে যে দোকান থেকে স্ন্যাকসের বাক্সটি কেনা হয়েছিল সেখানে হানা দেয় পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দোকানদারকে। পণ্যের মেয়াদও খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই তাঁরাও নিশ্চিত ভাবে পরে জানান, ওই দোকান থেকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য় বিক্রি হয়েছে। দোকানে হানা দিয়ে বেশ কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ স্ন্যাক্সসের বাক্সও বাজেয়াপ্তও করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল মার্চ মাসেই। সেবার পঞ্জাবে এক ১০ বছরের শিশুর জন্মদিনে মৃত্যু হয় খাবারের বিষক্রিয়ার জেরে। পরে জানা যায়, বার্থ-ডে কেকে বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তার। ওই কেক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শিশুর পরিবারের আর এক সদস্যও। তবে তিনি পরে সুস্থ হয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি শিশুকে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে ব্যবস্থার দাবি জানান মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। পরে জানা যায়, যে বেকারি থেকে কেকটি অর্ডার দেওয়া হয়েছিল তা রেজিস্ট্রার্ড নয়, ভুয়ো নামে দোকান চলছিল। অর্ডার করা কেকটিও বাসি ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে।
  • Link to this news (এই সময়)