Nitish Kumar Video : 'গণ্ডা গণ্ডা বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন...', লালুকে অশালীন আক্রমণ নীতীশের, দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৪
ফের একবার নীতীশ কুমারের স্লিপ অফ টাং। আবারও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। এবার তাঁর নিশানায় প্রাক্তন জোটসঙ্গী লালু প্রসাদ যাদব। তিনি 'গণ্ডা গণ্ডা বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন' বলে তীব্র কটাক্ষ নীতীশের।কী এমন বলেন নীতীশ কুমার?শনিবার একটি নির্বাচনী জনসভায় পরিবারতন্ত্র নিয়ে লালু প্রসাদ যাদবকে খোঁচা দিতে গিয়ে শালীনতার সীমা পেরিয়ে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। নীতীশ কুমার সভামঞ্চ থেকে বলেন, 'নিজে সরে দাঁড়ানোর পর স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দিলেন। এবার নিজের বাচ্চাদের প্রোমোট করছেন। আসলে অনেক বাচ্চার জন্ম দিয়ে ফেলেছেন উনি। এত গণ্ডা গণ্ডা বাচ্চা কেউ জন্ম দেয় না কি?' না থেমে নীতীশ কুমার আরও বলেন, 'এবার রাজনীতিতে মেয়েদের টেনে এনেছেন। দুই ছেলে তো রয়েইছে। সবাইকে রাজনীতিতে নিয়ে আসছেন। তাঁরা সবাই মিলে নানারকম কথা বলে চলেছে। আপনাদের জানাই রাখি এরা সরকারে থাকাকালীন কোনও কাজ করেনি। কেউ বাইরে বেরোতে পারত না বিহারে। কোনও পাকা রাস্তা ছিল না। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, সমস্তটাই অনুন্নত ছিল।'
উল্লেখ্য, লালু প্রসাদ যাদবের দুই মেয়ে মিশা ভারতী এবং রোহিনী আচার্য এবার লোকসভা নির্বাচন লড়তে চলেছেন। পাটলিপুত্র আসন থেকে টিকিট পেয়েছেন মিশা ভারতী। রোহিনীকে RJD দাঁড় করিয়েছে সারান লোকসভা কেন্দ্রে। পাশাপাশি লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বড় ছেলে তেজ প্রতাপ ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী।
এর আগেও নীতীশ কুমারের নানা মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একাধিক সময় শালীনতার সীমা পেরিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য তাঁকে ভাইরাল করে তুলেছে। কয়েকমাস আগে বিহার বিধানসভায় জনসংখ্য়া সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে যৌন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেছিলেন, 'বলেন, 'বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্য়ে যৌন মিলন স্বাভাবিক। কিন্তু সেক্স এডুকেশনে শিক্ষিত একজন বিবাহিত মহিলা, পুরুষকে তাঁর যোনির বাইরে বীর্যপাতে বাধ্য করতে পারেন।' এই মন্তব্যের জেরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। নীতীশকে অসুস্থ বলে উল্লেখ করেন সে সময় তাঁর বিরোধী পদ্ম শিবিরের নেতারা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় সবসময় বি গ্রেডের সিনেমার দৃশ্য ঘোরে বলেও কটাক্ষ করেন তারা। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে হয় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে।