দুবাইয়ের বন্যার পর আরও বড় বিপদের মুখে বিশ্ব! 'আবহাওয়া যুদ্ধের' সতর্কতা বিশেষজ্ঞদের
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে স্মার্ট শহর বিশ্বের প্রায় সমস্ত কোটিপতিদেরই ফেভারিট উইকেন্ড ডেস্টিনেশন। মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে শাহরুখ-সলমান সকলেরই বসবাসের আরেকটি প্রধান ঠিকানা হল এই মরুশহর। কিন্তু আচমকা বিপর্যয়ে বিদ্ধস্ত হয় দুবাই।প্লাবিত হয় শহরের বিভিন্ন এলাকা। জলের তলায় চলে যায় শহরের ঝাঁ চকচকে শপিং মল থেকে শুরু করে হাইওয়ে। জলের তলায় চলে যায় দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয় বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি।
তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দুবাই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে দুবাইয়ের বৃষ্টি আসলে অশনি সংকেত গোটা বিশ্বের কাছে। দুবাইয়ের এই বন্যা ভবিষ্যতে দেশগুলির মধ্যে আবহাওয়া যুদ্ধের আকার নিতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে তা ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনবে গোটা বিশ্বের উপর।
দুবাইয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বছরে এত বেশি বৃষ্টি হয়না শহরেয আবহাওয়ার অদ্ভূত পরিবর্তনগুলি ক্লাউড সিডিং সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ১৯৪০ এর দশক থেকে ব্যবহৃত একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিশেষ ফ্লেয়ার দিয়ে সজ্জিত বিমান বৃষ্টি হওয়ার জন্য মেঘে লবণ ছড়িয়ে দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ১৯৯০ সাল থেকে বৃষ্টিপাত ত্বরান্বিত করতে ক্লাউড সিডিং ব্যবহার করেছে। তবে এই বৃষ্টিতে ক্লাউড সিডিংয়ের কথা অস্বীকার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ক্লাউড সিডিং নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তাহলে দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জোহান জ্যাকসের মতে, আবহাওয়া নিয়ে হস্তক্ষেপ নৈতিক প্রশ্নও উত্থাপন করে। আবহাওয়া আন্তর্জাতিক সীমানা স্বীকার করে না। এমন পরিস্থিতিতে কারণ এক দেশের আবহাওয়ার পরিবর্তন অন্য দেশে বিধ্বংসী প্রবাব ফেলতে পারে। ক্লাউড সিডিংয়ের কারণে সৃষ্ট তীব্র বৃষ্টির কারণে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, যার ফলে বন্যা হতে পারে।
জোহান জ্যাকস বলেছেন যে ক্লাউড সিডিংয়ের উপর আমাদের খুব কম নিয়ন্ত্রণ থাকে। এক এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টি আনতে ক্লাউড সিডিংয়ের মতো কৌশল ব্যবহার করলে অন্য এলাকায় আকস্মিক বন্যা এবং খরা হতে পারে। যখনই আমরা প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ধরণগুলিতে হস্তক্ষেপ করি তখনই আমরা এমন একটি ঘটনাকে ট্রিগার করি যার উপর আমাদের খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ইউএইতে চরম আবহাওয়ার ধরণ আনতে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন করছেন বিশেষজ্ঞরা।