ফের একবার আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বার্ড ফ্লু। এই রোগের ভাইরাস H5N1-এর হদিশ এবার পাওয়া গেল দুধে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করে এমনটাই জানানো হয়েছে। যা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে।এবার কি তবে দুধে বার্ড ফ্লু?গবেষণা বলছে, মূলত যে সমস্ত প্রাণীরা এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয় তাদের শরীরজাত কাচা দুধে মিলেছে এই ভাইরাসের স্ট্রেন। তবে এই ভাইরাস দুধের মধ্যে কতদিন বেঁচে থাকে, সেটাই এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের ভয়ংকর প্রভাবের ক্ষত এখনও মানুষের মনে দগদগে। ভয়াবহ সেই অতিমারির রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। তার মাঝেই এবার বার্ড ফ্লুয়ের আতঙ্ক। H5N1 বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন ঘিরে উদ্বেগজনক খবর উঠে আসছে সামনে।
১৯৯৬ সালে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1) প্রাথমিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে ২০২০ সালে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সে সময় মৃত্যুর হার ছিল ভয়ানক। ২০২০ সালে ওই ভাইরাসের কবলে পড়ে ১০ মিলিয়ন পোলট্রির মুরগি মারা গিয়েছিল। সংক্রমিত হয়েছিল বহু বন্য পাখি, স্থলের পশু, জলজ স্তন্যপায়ীরাও। বার্ড ফ্লু মানেই যে শুধু পাখিদের ঘিরে উদ্বেগ তা নয়। গত মাসেই এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছে গরু ও ছাগলও।
গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্যনিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর বলছে, গোরুর ভিতর বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণের ফলে বহু পশুপালন ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমেরিকার টেক্সাস ও নিউ মেক্সিকোতে বহু সংক্রমিত গোরুর হদিশ মিলেছে। এই ফার্মগুলিতে মৃত পাখিও পাওয়া গিয়েছিল। পরে ল্যাবোরেটারি টেস্টে দেখা গিয়েছে ওই গোরুদের শরীরে রয়েছে বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণ।
ফলে বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন কয়েকটি ঘটনায় পাখি থেকে গোরু, গোরুর থেকে গরু এবং গোরু থেকে পাখিদের মধ্যে সংক্রমণের সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, মিউটেট শুরু হয়েছে এই ইনফ্লুয়েঞ্জার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেন,' ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে সংক্রমিত পশুর দুধেও। কাঁচা দুধে ভাইরাস খুব বেশি ঘনত্ব তৈরি করে থাবা বসিয়েছে। মানুষকে এবার পশুর দুধ খাওয়ার বিষয়ে খুবই সচেতন হতে হবে। দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট নিয়েও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।'