• World War III: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে বদলে যাবে পশ্চিম এশিয়া? ভয় ধরাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • ইজরায়েল ইরানের মধ্যে অচলাবস্থা এবং একে অপরের উপর ক্ষেপনাস্ত্র হামলা সমগ্র অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ইজরায়েল এবং ইরানের একে অপরের সরাসরি সামরিক হামলা পশ্চিম এশিয়াকে একটি বিপজ্জনক নতুন যুগে ঠেলে দিয়েছে। দুদেশের পরিস্থিতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগাম বার্তাই দিচ্ছে বিশ্বের কাছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরাসরি হামলারপর কী দুদেশই শান্তিতে থাকবে নাকি সংঘাতের নতুন চক্র শুরু হবে। শুক্রবার ভোরে ইসফাহানে ইজরায়েলের হামলার পর, বল রয়েছে ইরানের কোর্টে। এবার দেখার যে ইরান কীভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখায়। যদিও এই হামলায় ইরানের কোনও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ইরানের সামরিক ঘাঁটি যেভাবে টার্গেট করেছে তাতে সংঘাত বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।

    সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের উপর ইজরয়েলের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তি দিয়েছিলেন যে, বড় আকারের প্রতিরক্ষামূলক অভিযান প্রমাণ করেছে যে ইরান ইজরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে না এবং এর বেশি প্রতিশোধ নেওয়ারও প্রয়োজন নেই। এরপর ইজরায়েল ব্যবস্থা নেয়।

    নেতানিয়াহুও গাজা যুদ্দে জো বাইডেনেরআবেদনকে বারবার উপেক্ষা করেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের আগ্রাসী পদক্ষেপে তারা অংশ নেবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তারপরো নিজেদের আগ্রাসন দেখাচ্ছে ইজরায়েল।

    বিশেষ৫রা বলছেন, দুই দেশের এই রণংদেহী মানসিকতা প্রভাব ফেলবে পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে। ইজরায়েল এই মুহূর্তে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। তিনটি ফ্রন্টে তিনি কার্যকরভাবে লড়াই করছেন। তার লড়াই গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে। এটি লেবানন সীমন্তে হিজবুল্লাহর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং এখন ইরানের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়েছে। হিজবুল্লাহ ক্ষপেনাস্ত্রের একটি বড় পরিমাণ মজুদ রেখেছে এবংর পরে ইরানকেসমর্থনের জন্য সেটি ব্যবহার করতে পারে। এটা লেবাননকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

    ইতিহাস বলছে যে ইজরায়েলি নেতারা যখন অনুভব করেন তাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে, তারা একতরফাভাবে কাজ করে, এমনকি যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংযমের পরামর্শ দিচ্ছে। এই মতবাদের কারণে ইরাক ও সিরিয়ার পারমানবিক স্থাপনয় ইজরায়েল হামলা চালায়।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সাম্প্রতিক হামলা নতুন মঞ্চ তৈরি করেছে। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক ম্যালকম ডেভিস বলেন, ‘সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি একটি দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি চক্রের মঞ্চ তৈরি করেছে যা এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।’ ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা এড়াতে ইজরায়েলেরআপাত ক্ষমতাও ইজরায়েলের কৌশলগত সুবিধা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আমি মনে করি এটি তেহরানের কাছে একটি বার্তা পাঠায় যে তারা আসলে ইজরায়েলি হামলার চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তারা স্বীকার করতে চায়।‘
  • Link to this news (এই সময়)