প্র্যাকটিসে গম্ভীরের সঙ্গে খোশমেজাজে কোহলি, বিরাটকে দ্রুত ফেরানোই লক্ষ্য নাইটদের...
আজকাল | ২১ এপ্রিল ২০২৪
সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: ঘড়ির কাঁটায় চারটে ছুঁইছুঁই। ইডেনের সবুজ গালিচায় ধরা পড়ল অপ্রত্যাশিত দৃশ্য। খুব কি অবাক করার মতো? তা হয়তো নয়। বিশেষ করে চলতি আইপিএলে কেকেআর-আরসিবি ম্যাচের পর। শনিবার বিকেলে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে খোশমেজাজে পাওয়া গেল বিরাট কোহলিকে। দুটো দলেরই প্র্যাকটিস ছিল বিকেল চারটেয়। মাঠে নেমেই একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় দুই তারকার। তারপর বেশ খানিকক্ষণ মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে কথা বললেন। কেকেআর-আরসিবি ম্যাচের অন্তরালে লুকিয়ে থাকে আরও একটি দ্বৈরথ। গৌতম গম্ভীর বনাম বিরাট কোহলি। কিন্তু প্রথম লেগে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ের সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় দুই তারকাকে। রসায়ন যে বদলে গিয়েছে, সেটা এদিন টের পাওয়া গেল। মিনিট দশেকের কথোপকথনের পর নিজ নিজ প্র্যাকটিসে মনোযোগ দেন কোহলি, গম্ভীর। টেবিলের তলানিতে থাকা আরসিবির বিরুদ্ধে একটাই স্ট্র্যাটেজি কেকেআরের। রবিবার দ্রুত ফেরাতে হবে বিরাটকে। কোনও রাখঢাক না করেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন বৈভব অরোরা। বিরাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোহলির জন্য আমাদের আলাদা কোনও প্ল্যানিং নেই। তবে সব প্লেয়ারের জন্যই আমাদের একটা স্ট্র্যাটেজি থাকে। আমরা সেই অনুযায়ী খেলব। বিরাট ভাল ফর্মে আছে। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে রান পাচ্ছে। তবে সবারই শক্তি এবং দুর্বলতা থাকে। ওর দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে আমরা কোহলিকে দ্রুত আউট করার চেষ্টা করব।" বিরাটকে নিয়ে আলাদা প্ল্যানিংয়ের কথা স্বীকার না করলেও, নাইটদের বোলিং যে চাপে আছে, সেটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার এখনও নিজের জাত চেনাতে পারেনি। ছয় ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচে উইকেট পাননি। একগাদা রান দিচ্ছেন। ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। সেটা নিঃসন্দেহে গম্ভীরের কপালে ভাঁজ ফেলবে। আরসিবি ম্যাচের আগে আলাদা বৈঠক কেকেআরের বোলারদের। তবে শনিবার অনুশীলনে দেখা যায়নি স্টার্ককে। অজি তারকার ধারাবাহিকতার অভাব কতটা চাপে ফেলছে তরুণ পেসারদের? বৈভব বলেন, "আমাদের ওপর কোনও চাপ নেই। যেকোনও প্লেয়ারের একটা দিন খারাপ যেতেই পারে, সেদিন বাকিদের দায়িত্ব নিতে হয়। সবার খারাপ দিন যায়। ভাল দিনও আসে। আমরা কোনও বাড়তি চাপ নিচ্ছি না।" আগের দিন দুশোর বেশি রান করেও হারতে হয়েছে। নাইটদের পেসার মনে করেন, স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়ন করতে পারলে সমস্যা হবে না। একইসঙ্গে প্রথমে ব্যাট করলে লক্ষ্য হবে ২৩০-২৪০ রান তোলা। বৈভব বলেন, "আগের ম্যাচে আমরা প্ল্যানিং কাজে লাগাতে পারিনি। স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী খেলতে পারলে সমস্যা হবে না। শেষ দু"বছরে টি-২০ ক্রিকেট বদলে গিয়েছে। ২৩০-২৪০ রান তোলা সম্ভব। আমরা যত বেশি রান তুলতে পারব, জেতার সম্ভাবনা তত বেশি। আগের ম্যাচের ভুল করতে পারব না।" শনি বিকেলে ইডেনে ঘণ্টা দুয়েক প্র্যাকটিস করে কেকেআর। পেসারদের বল করতে দেখা যায়নি। এদিনও ফিল্ডিংয়ে জোর দেওয়া হয়। শেষে চলে গম্ভীরের ক্লাস। মাঠেই গোল করে বসে নাইটদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন জিজি। প্রথম লেগে বেঙ্গালুরুর মাঠে কোহলিদের হারিয়েছিল নাইটরা। ঘরের মাঠে কি "ডবল" হবে?