• সুখবিন্দরের ক্রেডিট চুরি করেছেন রহমান? 'জয় হো' নিয়ে রামগোপালের দাবি ওড়ালেন গায়ক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • স্লামডগ মিলিয়নিয়ার ছবি ইতিহাস রচনা করেছিল অস্কারের মঞ্চে। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ড্যানি বয়েলের এই অস্কারজয়ী ছবির প্রেক্ষাপট মুম্বইয়ের বস্তিতে বেড়ে ওঠা জামাল। সেই ছবির সঙ্গীতের দায়িত্ব সামলেছিলেন এআর রহমান। ছবির ‘জয় হো’ গান অস্কারের স্টেজে সেরা মৌলিক গানের সম্মান ছিনিয়ে নেয়। সম্প্রতি আচমকাই আলোচনায় এই গান।  একটি সাক্ষাত্কারে চলচ্চিত্র নির্মাতা রাম গোপাল ভার্মার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, এ আর রহমান নন, এই গানের স্রষ্টা অন্য কেউ!

    ‘সরকার’ পরিচালক বলেন, গায়ক সুখবিন্দর সিং এই গান রচনা করেছেন এবং রহমান কেবল কৃতিত্ব পেয়েছেন। তবে এইচটি সিটি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সুখবিন্দর সিং নিজেই সত্যিটা জানিয়েছেন। ‘জয় হো’ মূলত চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ ঘাইয়ের যুবরাজ (২০০৮) ছবির জন্য তৈরি হয়, যে ছবিতে অভিনয় করেন সলমন। তবে গানটি ব্যবহার হয়নি। 

    সুখবিন্দর বলেন, ‘এ আর রহমান গানটির সুর করেছেন, আমি শুধু গেয়েছি। রাম গোপাল বর্মাজি ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় নাম, তবে হয়ত তিনি ভুল শুনেছেন এই ব্যাপারে’। সুখবিন্দর আরও বলেন, ‘গুলজার সাহেব এই গানটি লিখেছিলেন, রহমান এটি পছন্দ করেছিলেন। এরপর মুম্বাইয়ের জুহুতে আমার স্টুডিওতে তিনি এটি রচনা করেন। তিনি সুভাষজিকে তা শুনতে বাধ্য করেছিলেন। আমি তখন পর্যন্ত গানটি গাইনি’। 

    গানটির প্রশংসা করলেও সুভাষ ঘাই নিজের চলচ্চিত্রের জন্য সেটি চাননি। তিনি বলেন, যে চরিত্রের জন্য তিনি গান চেয়েছিলেন, সেই চরিত্রটি গল্পে দুষ্টুমি করেছে, এই গানটি মানানসই নয়। সুখবিন্দর যোগ করেন,'আমিও বলেছিলাম একটু অদলবদল করে দাও, কিন্তু সুভাষজি বলেছিলেন পুরো নতুন গান চাই। এরপর তিনি চলে যান, রহমান চলে যান। আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি গুলজার সাহেবকে ১০-১৫ মিনিট থেকে যেতে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কেন, যার উত্তরে আমি উত্তর দিয়েছিলাম যে তিনি এটি এত ভাল লিখেছেন, আমাকে গান গাওয়ার চেষ্টা করতে দিন। নেচেকুদে আমি গানটা রেকর্ড করেছিলাম। আজ যে জয় হো শুনছেন, সেই জয় হো। আমি এটি রহমান সাহেবের কাছে পাঠিয়েছিলাম….রহমানও তাঁর কথা রেখেছিলেন এবং যুবরাজের জন্য সুভাষজিকে আরও একটি গান দিয়েছিলেন।' 

    সুখবিন্দরের ধারণা গানটি রেকর্ড করার পর সুভাষজিকে জয় হো- শোনানো হয়ে সিদ্ধান্তটা অন্যরকম হতে পারত। তিনি বলেন, ‘আওয়াজ কা ভি আসর হোতা হ্যায়। ড্যানি বয়েলের আমার কন্ঠস্বরটা ভালো লেগেছিল। গানটা রেকর্ড করার সময় একটু আধটু তড়কা তো আমি দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম রহমান স্যারের কাজে আসবে কোনও ছবিতে… আধ ঘন্টায় জয় হো রেকর্ড করেছিলাম’। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)