• Mahavir Jayanti: রবিতে পাতে নেই কচি পাঁঠার ঝোল-মুরগি কষা! এই রাজ্যগুলিতে বন্ধ মাংসের দোকান
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • অনেকের কাছে রবিবার মানেই পাঠার মাংস মাস্ট। সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিনে জমিয়ে মাংস-ভাত না হলেই যেন নয়! তবে পাঠার মাংস যদি নাও হয়, মুরগিরও মাংসও রান্নার গুণে জমে ক্ষীর! মোদ্দা কথা রবিবার মাংস-ভাত ছাড়া ভাবা যায় নাকি। সেই রবিবারেই বন্ধ মাংসের দোকান।কোথায় কোথায় বন্ধ মাংসের দোকান?

    রবিবার, ২১ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তী। আর সেই উপলক্ষ্যে গ্রেডার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (GHMC) শহরজুড়ে সব মাংসের দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ যাতে পালন হয় তার জন্য GHMC কমিশনার একটি নোটিশে জেলার সব অফিসারদের বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

    শুধুমাত্র হায়দরাবাদেই নয়, মহারাষ্ট্রের ভাসাই ভিরার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (VVMC)-এর তরফে রবিবার পশু জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাঠার মাংস, মুরগির মাংস, গোরুর মাংস এবং শুয়োরের মাংস বিক্রি করা যাবে না ২১ এপ্রিল, রবিবার। তবে মাছের বিক্রিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথমবার ভাসাই ভিরার নাগরিক কমিটি মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    রবিবার, ২১ এপ্রিল মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। শনিবার ভারতের পশু কল্যাণ বোর্ড সারা দেশে সমস্ত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে একদিনের জন্য কসাইখানাগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণেই নিষেধাজ্ঞা।

    জেলা কালেক্টর এবং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছে একটি চিঠিতে, ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের পর বোর্ড একটি নির্দেশ জারি করেছিল। এতে উল্লেখ করা হয়েছিল, সীমিত সময়ের জন্য ব্যবসা বন্ধ করা অযৌক্তিক বিধিনিষেধ নয় এবং এটি ভারতের সংবিধানের ১৯ (১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে না।

    মহাবীর জয়ন্তী

    ২১ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তী। এই দিন জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর ভগবান মহাবীরের জন্মদিন। এই দিনটি জৈন সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। ভগবান মহাবীর শৈশবে বর্ধমান নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজা সিদ্ধার্থ ও রাণি ত্রিশলার ঘরে জন্ম নেন। তাঁর জন্ম সাল নিয়ে এখনও জৈন, স্বেতাম্বর ও দিগম্বর সম্প্রদায়ের মধ্য়ে বিতর্ক রয়েছে। স্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের মতে, মহাবীর খ্রিস্টপূর্ব ৬১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে, দিগম্বর সম্প্রদায়ের বিশ্বাস তিনি ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জৈন ধর্মালম্বীরা একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি অনুসরণ করেন। উপবাস করে মহাবীর জয়ন্তীতে। তাঁরা খাদ্য ও বস্ত্র দিয়ে অভাবীদের সেবা করেন। বেশ কয়েকটি জৈন মন্দিরে সন্ন্যাসীরা এই দিনে মহাবীরের পুণ্যের পথ প্রচার করেন। এই দিনটি মহাবীর জন্ম কল্যাণক নামেও পরিচিত।
  • Link to this news (এই সময়)