Lok Sabha Election 2024: ’৩৫০ আসনে জিতবে বিজেপি’, ভবিষ্যদ্বাণী দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদের
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
বিজেপি একাই লোকসভা নির্বাচনে ৩৩০ থেকে ৩৫০ আসন পেতে পারে। এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ এবং মনস্তত্ত্ববিদ সুরজিৎ ভাল্লা।তিনি এদিন বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভালো পারফরম্যান্স করার সম্ভাবনা আছে বিজেপির। সুরজিৎ ভাল্লার নতুন বই ‘হাউ ইউ ভোট’ ভোটারদের মানসিকতার বিবরণ দেয়।
পরিসংখ্যানগত সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে, তাদের নিজেদের ৩৩০ থেকে ৩৫০ টি আসন পেতে হবে। এটি শুধুমাত্র বিজেপি, তার জোটের অংসীদারদের অন্তর্ভুক্ত নয়, সুরজিৎ ভাল্লা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে দলের প্রচারণা চালানো হচ্ছে তারা সম্ভবত এটি দেখতে পাবে। ২০১৯ সালের ফলাফলের তুলনায় জয়ী আসন ৫ থেকে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুরজিৎ ভাল্লা বলেন, ‘এটি একটি তরঙ্গ নির্বাচন হতে পারে। প্রতিটি নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি একটি তরঙ্গ নির্বাচনও হতে পারে নি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত চার দশক ধরে ভারতের নির্বাচনের উপর নজর রাখছেন এই শীর্ষ অর্থনীতিবিদ।
বিরোধী কংগ্রেসকে নিয়ে তিনি বলেন, যে দলটি ৪৪টি আসন পেতে পারে, বা ২০১৪ সালের নির্বাচনে যা জিতেছিল তার চেয়ে ২ শতাংশ কম, যে বছর নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘জোটের সমস্যা হল নেতৃত্ব। অর্থনীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নেতৃত্ব দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দুটোই বিজেপির পক্ষে। বিরোধী দল যদি এমন একজন নেতা নির্বাচন করত যিনি গণআবেদন করতে পারতেন বা আনুমানিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্ধেক আবেদনও করতে পারতেন তাহলে আমি মনে করি এটি একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে।’
তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে বিজেপি সম্ভবত তামিলনাড়ুতে কমপক্ষে পাঁচটি আসন জিতবে, যেখানে বিজেপি ঐতিহ্যগতভাবে একটি দুর্বল দল। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হব না যদি সব জায়গার মধ্যে তামিলনাড়ুতে বিজেপি পাঁচটির বেশি আসন পায়। কেরালয় একটি বা দুটি হতে পারে।’
তিনি জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য এই সম্ভাবনাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনে কতটা উন্নতি হয়েছে, তার ভিত্তিতে ভারত ভোট দেয়। এটাই মূল ভিত্তি। এটি জাত নয়, লিঙ্গ নয়, বিভিন্ন কারণকে মানুষ দায়ী করে না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সর্বত্র বিরোধীরা সর্বদা বলবে মুদ্রাস্ফীতি বেশি, সেখানে খুব কম সংখ্যক চাকরি আছে। কিন্তু ভারতে ২০১৯ সালের তুলনায় বেকার লোকের সংখ্যা কম।’